'ফজলে এলাহি মুজাহিদ' -এর ব্লগ
* বিশুদ্ধ আক্কীদার ব্যপারটাকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। কারণ * মুসলমানদের বিভাজনে কাফের-মুশরিকদের চতুর হাত রয়েছে; একথা অনস্বীকার্য। তাই আলেম ও শাসকগণের উচিত এসব বিষয় বুঝা ও নূন্যতম ঐক্যের সুযোগকেও হাতছাড়া না করা।
|
|||
আসসালামু আলাইকুম। গতকাল সোমবার ২১শে আগষ্ট ২০১৭ ইংরেজী এবং ২৯শে যুলক্কা'আদাহ্ ১৪৩৮ হিজরী তারিখে সউদী আরবের কোথাও চাঁদ দেখা যায়নি। সে হিসেবে আজ মঙ্গলবার ২২শে আগষ্ট ২০১৭ ইংরেজী তারিখে হিজরী যুলক্কা'আদাহ্ মাসের শেষ দিন। যারা কুরবানী করার ইচ্ছা করেছেন তারা আজকের সন্ধ্যার পূর্বেই নখ, চুল ইত্যাদি কেটে নেবেন। কেননা, ১লা যুলহাজ্জাহ্ শুরু হবে যুলক্কা'আদাহর শেষ দিনের মাগরিব থেকে। উপরের হিসাব মত 'আরাফাহর দিন হতে যাচ্ছে বৃহস্পতিবার ৩১শে আগষ্ট ২০১৭ এবং যথারীতি ৯ই যুলক্কা'আদাহ্ ১৪৩৮ হিজরী। সহীহ্ সুন্নার বর্ণনামত যুলহাজ্জাহ্ মাসের প্রথম দশদিনের অনেক ফদ্বীলত রয়েছে। তাই এ মাসের প্রথম ৯দিন অর্থাৎ ১ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত সম্ভব হলে সবাই সওম সাধনা করবেন। যারা অক্ষম তারা অন্ততঃ ৯ তারিখ 'আরাফাহর দিন অবশ্যই সওম পালন করবেন। ১০ তারিখ যেহেতু ঈদ আর ঈদের দিনে সওম সাধনা নিষেধ, তাই সওম প্রথম ৯দিন।
|
|||
কি ঝরাবো কুরবানীতে পশুর তাজা রক্ত আর বিশ্বজুড়ে মুসলমানের রক্তঝরা নিত্যকার, হৃদয় জুড়ে বইছে তুফান কি আনন্দ ঈদে হাসতে গেলে হৃদয় মাঝে আর্তনাদই বিঁধে! ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, মদীনা মুনাওয়ারা, সউদী আরব। ব্লগিংয়ের প্রতি আবারো একটা 'টান' অনুভব করছি। একটা সময় ছিল যখন অবসরের সামান্য ছাড়া সবটুকুই ব্লগিং, লেখালেখি, ছবি এডিটিং ইত্যাদি ভার্চুয়াল কাজে ব্যয় হতো। তখন সবাই বলতো, 'সময় নষ্ট করছি'। আরো নানা কারণে ব্লগিং তথা লেখালেখি থেকে হাত গুটিয়ে নিলাম। ময়দানী কাজে সময় দিলাম বেশী। কিন্তু এখন মনের মাঝে একটা 'সমন্বয়' ভাব অনুভব করছি।
|
|||
মেয়েটার ক্ষতির কোন চিন্তাই মাথায় এলো না; বরং সন্তানের মাকে নিয়ে ছিল সবটুকু ভয়। বার বার এমন সব সমস্যার কথা জেনেছি যে, নিজেও শংকিত হয়ে পড়েছিলাম। অপারেশন থিয়েটারে যাবার প্রাক্কালে এমন ভাবে বিদায় নিচ্ছিলো যেন এই বুঝি শেষ দেখা। মনটা আরো ছোট হয়ে পড়েছিল। দারুন উৎকণ্ঠায় প্রতিটি মুহূর্ত যেন দীর্ঘ প্রহর। কিন্তু দেখলাম, চিন্তায়, ক্লান্তিতে অথবা আল্লাহর রহমতে অজান্তেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। কিছুটা সময় মাত্র, তবুও মাথাটা হালকা হলো যেন। অপেক্ষা করছিলাম, কখন ডাকবে। ডাক এলো, ভেতরে গেলাম, শিশুদের জন্মোপরের প্রাথমিক অবস্থা রিপোর্ট করার বাংলাদেশী ডাক্তার জানালেন, বাচ্চার অবস্থা ভালো না। তবে বাচ্চার মা ভালো আছেন। তখনো মনে স্থান দেইনি, অনুমতি নিয়ে কানে আযান শোনালাম। জানিনা, মা আমার শব্দ শুনতে পেয়েছিল কি না। নিদারুন এক হেঁচকি তাকে যেন সংজ্ঞাহীন করে রেখেছিল তাকে। তবুও আশাকে অগ্রাধিকার দিয়ে আনন্দিত হবার চেষ্টা করলাম। না! ডাক্তার আমাকে আতংকের কথা শোনাতে লাগলেন। ধীরে ধীরে পায়ের তলার মাটিও যেন নরম হতে থাকলো। আমি দেয়াল ধরে নিজেকে সংযত রাখার চেষ্টা করতে থাকলাম।
|
|||
معرض اسماء الله الحسنى - المدينه المنورة মহান আল্লাহর নামসমূহ নিয়ে Exhibition বা প্রদর্শনী। মসজিদুন্ নববীর পশ্চিমের লোহার সীমানা ঘেঁষে একটি দালান উঠি উঠি করছে বিগত বেশ ক'বছর থেকে। কিন্তু তার উঠাই শেষ হচ্ছে না। এমনটি অবশ্য এদেশে নতুন নয়; বিভিন্ন স্থানে এরকম আরো স্থাপনা দেখা যায় যেগুলো শেষ হয় না অথবা শেষ না হতেই তাদের ভেঙ্গে পড়তে হয় আঁতুড়েই।
|
|||
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? অনেক দিন ব্লগে আসা হয়নি। মাঝে পুরোনো একটি ব্যাপার ভেবে আজো
|
|||
শৈশবের রেশ কেটে উঠিনি তখনো, যেমন কাটেনি ভোরের রেশও, সেদিনের সকালে। কিছু আগেই তো শেয়ালের ডাকে দুরু দুরু বুকে হাতুড়ি-কাঠে পেরেকের ঠুকাঠুকি অবস্থা আর ভোর-পূর্ব সোবহে সাদিকের ঠাণ্ডায় যেন কনকন শব্দ হচ্ছিল। তারও আগে কাঁথার আদরে বেঘোরে নিদ্রিত ছিলাম নানার আদরে। অনেক টানা-হিঁচড়ার পর চোখ মেললাম, শিশুবেলা আর ছেলেবেলার ঘুমটা এমন ছিল যে, চোখ জাগলেও কান জাগতে জাগতে কিছুটা সময় নিত। অবশেষে কানের ঘুম ভাঙ্গতেই শুনতে পেলাম ঘরজুড়ে বেশ হৈচৈ ব্যস্ততা আর এসবের থেকে সম্পূর্ণ দূরে ওপাশের রুমেই শুধু হাল্কা ব্যথিত শব্দ হচ্ছিল যেন, গিয়ে দেখতেই অবাক দেখলাম। রাগে টুইটুম্বর নানার চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছে, তিনি কাঁদছেন, ভাবতেই অবাক লাগছিল; অথচ দু'চোখে দেখছি। সেদিনই টের পেলাম প্রথম- রাগি মানুষগুলোর আড়ালে একটা খুব স্পর্শী-নরম মন লুকিয়ে থাকে। সকলের কান্না আর কাঁদো-কাঁদো ব্যস্ততা এবং ঘুম জাগা চোখ কচলাতে কচলাতেই দেখি রাতের পোষাক উধাও; আমরা দু'ভাই বেশ সাহেব সাহেব সেজে গেলাম।
|
|||
“ঈদ পূনর্মিলনী” -শব্দ দু’টির সাথে যেন রাশি রাশি আনন্দ মিশে আছে। একে তো ঈদ মানেই আনন্দ, তদুপরি বন্ধু-সুধী-প্রিয়জনদের সাথে পুনরায় মিলিত হবার অতিরিক্ত আনন্দ; এ যেন ঈদের ছুটির পর শুক্রবারের ছুটি। বিষয়টি উপস্থিতির জন্য যতটা আনন্দের, আয়োজকদের জন্য ঠিক যেন ততটাই পেরেশানীর হয়। তবুও এই পেরেশানীতে লুকিয়ে থাকে দ্বিগুণ আনন্দ। একে তো আমিও একজন উপস্থিতি, দ্বিতীয়তে আমি একজন মেজবানও। তাই কষ্টের পরতে পরতে ঘামের মতই যেন খুশী ঝরে হৃদয়ের কার্ণিশে। পরিশেষে শরীরময় ক্লান্তি নিয়ে যখন অনুষ্ঠানের ইতি টানতে যাই, তখন মনে হয় হৃদয় আজ পূর্ণ হলো।
|
|||
মরুর আকাশ কিছুদিন থেকে সত্যিই মেঘলা। হঠাৎ বড় বড় ফোটায় প্রবল বৃষ্টি, আবার থেমে থেমে ইলশাগুঁড়ি তো আবার হেসে উঠে শিশুবেলার সূর্যিমামা।মরুর বাসিন্দা আমরা, 'মামা'কে নিয়েই থাকতে হয়, 'মেঘলা' খালা বছরে দু'একবার বেড়াতে আসেন আমাদের উষ্ণ পল্লীতে। তিনি এলে কি যে আনন্দ হয় আমাদের, তখন ভাষা দাদু চলে যান পাশের গাঁয়ে। আর আমরা নির্বাক হয়ে আনন্দে মেতে উঠি, নেচে উঠি বৃষ্টির প্রতিটি ফোটার সাথে সাথে। মরুচারী হয়ে এগার বছরে এগার কিংবা তারও কিছু বেশী হবে হয়তো, বৃষ্টি দেখেছি। প্রথম বৃষ্টি ভড়কে দিল, বন্যায়-বানে ছিল যার সখ্যতা, সে তো শুষ্ক বালুর বুকে ঢল বইতে দেখলে ভড়কাবেই। গাড়ীগুলো ডুবে গেল, ঘরের দুয়ারে হাঁটু পানি। তবে বেশীক্ষণ থাকেনি, ঘন্টা কয়েক পরেই পাশের লোহিত সাগর চুষে খেল সবটুকু মরু-নির্যাস। তারপরের বছর দেখলাম বৃষ্টিভেজা বেদুঈন বালা আর শিশুদের আনন্দ, বৃষ্টিমুখর দেশে শৈশব থেকে যৌবনে এসেও যা কখনো দেখিনি। বালা-কনেরা বোরখা জড়িয়ে টিলা-পাহাড়ে উঠে বৃষ্টির মায়া নিল, আর শিশুরা নেচে-গেয়ে কাদা-জলের সাথে পরিচিত হলো কেউ, কেউ সাক্ষাত নিল জীবনে প্রথম। তারপর বৃষ্টিকে মনে পড়ে যখন কর্মব্যস্ত বিকেল।
|
|||
পৃথিবী নামক গ্রহটির যে অংশে স্রষ্টা আমাদের পাঠিয়েছেন, তা অনন্য। এ বিশ্বাস যেন জন্মগত ভাবেই অর্জিত সম্পদ। শুধুমাত্র বিশ্বাসে সীমাবদ্ধ না থেকে এ এক ভালবাসায় রূপ নিয়েছে। এটাই স্বাভাবিক। কেউ শেখায়নি এ ভালবাসার পদ্ধতি। প্রকৃতি যেন নিজেই এসে গেঁথে দিয়েছে মনের কোন এক গভীর অতলে একটি নাম- বাংলাদেশ। যতদিন মাটির গন্ধ শুঁকেছি ততদিন ভালো লেগেছিল এক তরফাভাবে। সীমানা পেরিয়ে যেদিনই কেউ বেরিয়ে এসেছে বিশ্বের প্রান্তরে, সেদিনই প্রথম ব্যথা অনুভব করেছে নিশ্চিত। সেদিনই বুঝেছে কি ছেড়ে এসেছে বহুদূরে। স্বদেশ নিয়ে এমন ভাবনাগুলো আজন্ম তবে ধীরে ধীরে গাঢ় হয়েছে বয়সের সাথে সাথে।
|
|||
