কুরআন কারিম থেকে.. “আল্লাহর কাছে তাওবা কবুল হবার অধিকার একমাত্র তারাই লাভ করে যারা অজ্ঞতার কারনে কোনো খারাপ কাজ করে বসে এবং তারপর অতি দ্রুত তাওবা করে। এধরণের লোকদের প্রতি আল্লাহ আবার তার অনুগ্রহের দৃষ্টি নিবদ্ধ করেন এবং আল্লাহ সমস্ত বিষয়ের খবর রাখেন, তিনি জ্ঞানী ও সবজ্ঞ। কিন্তু তাওবা তাদের জন্য নয়, যারা পাপ করে যেতেই থাকে, এমনকি মৃত্যুর সময় এসে গেলে বলে, আমি এখন তাওবা করলাম। অনুরুপভাবে তাওবা তাদের জন্যও নয়, যারা মৃত্যুর সময় পযন্ত কাফির থাকে..... (সুরা আন নিসা, আয়াত ১৭-১৮)
|
|||
বিভিন্ন অকাট্য দলিল এবং যুক্তি একথা প্রমাণ করে যে, কিয়ামাতের নিকটবর্তী সময়ে ঈসা ইবনু মারিয়াম (আলাইহিমাস সালাম) পুনরায় এ পৃথিবীতে আগমন করবেন। নতুন কোন শারিয়াত নিয়ে নয়, বরং তার আগমন ঘটবে শেষ নাবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একজন প্রতিনিধি হিসেবে। তবে সাধারণ মানুষের উপর একজন নাবীর যে মযাদা সে মযাদায় অলংকৃত হয়েই তিনি গোটা ইসলামী উম্মাহর নেতৃত্ব দান করবেন। তখন সকল মিথ্যা ধর্মমতের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হবে এবং গোটা পৃথিবীর মানুষ একমাত্র দ্বীন ‘ইসলাম’ এর অন্তর্ভুক্ত হবে। তার আগমনের মাধ্যমে এ ভ্রান্ত বিশ্বাসের অপনোদন ঘটানো হবে যে, তাকে ক্রুশে বিদ্ধ করে হত্যা করা হয়নি, তিনি আল্লাহর পুত্র নন। তার উম্মাতের গুনাহের কাফফারা হবার কাহিনীও সম্পুর্ণ অলীক।
|
|||
অনেক প্রাচীন কালের কাহিনী এটি। এক রাজা তার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে একজন সৎ ও আল্লাহভীরু কোষাধ্যক্ষ (Treasurer) নিযুক্ত করতে চাইলেন। যে কিনা হাজারো সুযোগ থাকা সত্বেও কোষাগারের একটি পয়সাও এদিক সেদিক করবেনা। কিন্তু কিভাবে বাছাই করা যাবে এমন ভাল লোক? অনেক চিন্তা ভাবনার পর তিনি এ পদের প্রার্থীদের আগমনের পথে একটি সুরংগ নির্মাণ করলেন এবং অতি গোপনে একজন বিশস্ত সংগী নিয়ে সুরংগ পথের এখানে সেখানে বেশ কিছু স্বর্ণমুদ্রা ফেলে রাখলেন। ইন্টারভিউ গ্রহণের দিন ঘনিয়ে এল। রাজা নির্দেশ দিলেন, কোষাধ্যক্ষ পদের প্রার্থীগন যেন একজন একজন করে এ সুরংগ পথ দিয়ে রাজার কাছে আসে এবং অবশ্যই একাকী আসতে হবে। সাক্ষাতকার শুরু হল। বহু লোক এল পরীক্ষা দিতে। সাক্ষাতকার পবের ফাকে রাজা কৌশল করে সকলেরই পকেট ও পোষাক তল্লাশী নিলেন। কেবল মাত্র একজন ছাড়া সকলেরই পকেটে কিছু কিছু স্বর্ণমুদ্রা পাওয়া গেল। রাজা সকলকে ডিসকোয়ালিফাইড করলেন, কেবল ঐ লোকটি ছাড়া, যার পকেটে কোন স্বর্ণমুদ্রা পাওয়া যায়নি।
|
|||
অধিক কঠোর অথবা অতি সহজ কোনো বিষয় যেহেতু
|
|||
আমার বিয়ের জন্য কেউ কখনো চেষ্টা করেন নি : আমার জন্য পরিবারের কেউ কখনো বিয়ের প্রস্তাব আনেন নি । এটা শুনলে অস্বাভাবিক মনে হতে পারে কিন্তু আসলেই এটা সত্যি। বাবা মারা যাবার পর থেকেই মা অসুস্থ । আমার বিয়ের জন্য মা কাউকে কখনো বলেন না। একদিন শুধু বলেছিলেন , তুই আমার এত আদরের মেয়ে । শ্বশুরবাড়িতে তোকে কষ্ট দিলে আমি সহ্য করবো কিভাবে ? বড় ভাই ভাবিও কখনোই আমার বিয়ের জন্য চেষ্টা করেন না। খালা মামারা মাঝে মাঝে বিয়ের কথা তুললেও মার কথা ভেবেই পিছিয়ে আসেন। আমি শ্বশুরবাড়ি চলে গেলে তাদের এই অসুস্থ বোনের সেবা যত্ন কে করবে ? বড় ভাই ভাবির মনেও এই একই আতঙ্ক ।
|
|||
অনেক অনেক দিন আগের কথা। এক রাজার মাথায় অদ্ভুত এক খেয়াল চাপলো: তিনি পরীক্ষা করবেন যে, “ভাগ্য কি স্রষ্টা নির্ধারিত কোন বিষয়? নাকি চরিত্র ও কর্মের মাধ্যমে মানুষ তা লাভ করে!” কিন্তু কিভাবে তিনি তা পরীক্ষা করবেন? অনেক ভেবে চিন্তে তিনি এক পরিকল্পনা আটলেন। তবে কাউকে তা বললেননা। তিনি গোপনে রাজবাবুর্চীকে দিয়ে দু’টি রুটি তৈরী করালেন। এর মধ্যে একটির ভেতরে ছোট ছোট স্বর্ণের টুকরা এমনভাবে ঢুকালেন যেন বাইরে থেকে কিছুই আচ করা না যায়। যেমন গোপনে রুটি তৈরী করালেন তেমনি গোপনে তা বিতরণেরও উদ্দোগ নিলেন রাজা। ছদ্ধবেশে একজন বিশ্বস্ত সংগী নিয়ে লোকালয়ের উদ্দ্যেশে বের হলেন তিনি। রাস্তার মোড়ে দু’জন ভিক্ষুক পেয়েও গেলেন। কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে দু’টি রুটি তিনি দু’জনকে দান করলেন এবং এক জায়গায় লুকিয়ে রইলেন। রুটি দু’টু নিয়ে দু’জন কি করে তা তিনি প্রত্যক্ষ করবেন।
|
|||
আতা ইবনু আবী রাবাহ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন যে, একদিন আমাকে আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) বললেন: আমি কি তোমাকে একজন জান্নাতী মহিলা দেখাব? আমি বললাম: অবশ্যই। তিনি বললেন: এই যে কালো মহিলাটি দেখছো, একদিন সে রাসুলুল্লাহর সা: নিকট এসে বললো: হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন মৃগী রোগী। প্রায়শ:ই আমি এ রোগের কারনে উলংগ হয়ে পড়ি। আপনি আমার জন্য দুয়া করুন যেন আমি এ রোগ থেকে সম্পুর্ণ আরোগ্য লাভ করি। জওয়াবে রাসুলুল্লাহ সা: বললেন: যদি তুমি ধৈযধারণ কর তাহলে তোমার জন্য জান্নাত। আর যদি চাও তো, আমি তোমার জন্য দুয়া করব যাতে তুমি এ রোগ থেকে সম্পুর্ণ আরোগ্য লাভ করতে পার। মহিলাটি বললো: আমি ধৈযধারণই করবো, তবে আপনি আমার জন্য দুয়া করুন, যাতে আমি এ রোগের প্রকোপে উলংগ না হয়ে পড়ি। রাসুলুল্লাহ সা: তার জন্য সেরুপ দুয়া করলেন। (বুখারী ৯৯/১০। মুসলিম ২৫৭৬ । মুল আরবী)
|
|||
প্রশ্ন : সূরা ইখলাস পাঠ করে কেউ যদি মৃত ব্যক্তিকে ঈসালে সাওয়াব করে, তাহলে মৃত ব্যক্তি কি উপকৃত হবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কি করতেন, কবরবাসীর জন্য তিনি কি তিলাওয়াত করতেন, না শুধু দোয়া করতেন? উত্তর : প্রথমত : আরব বিশ্বের সকল ইসলামী চিন্তাবিদ ও উলামাবৃন্দের মতানুযায়ী এ সাওয়াব মৃত ব্যক্তির নিকট পৌঁছায় না, কারণ এটা মৃত ব্যক্তির আমল নয়। আল্লাহ তাআলা বলেছেন : ﴿وَأَنْ لَيْسَ لِلْإِنْسَانِ إِلَّا مَا سَعَى﴾ {আর এই যে, মানুষ যা চেষ্টা করে, তাই সে পায়।} {সূরা নাজম: ৩৯} এ তিলাওয়াত জীবিত ব্যক্তির চেষ্টা বা আমল, এর সাওয়াব সে নিজেই পাবে, অন্য কাউকে সে ঈসালে সাওয়াব করার অধিকার রাখে না। এ সংক্রান্ত সৌদি আরবের “ইলমি গবেষণা ও ফতোয়ার স্থায়ী ওলামা পরিষদ” এর ফাতওয়া নিম্নরুপ : প্রশ্ন :
|
|||
কুরআন কারিম থেকে.. আমি অবশ্যই একদিন মৃতদেরকে জীবিত করবো, যা কিছু কাজ তারা করেছে তা সবই আমি লিখে চলছি এবং যা কিছু চিহ্ন তারা পেছনে রেখে যাচ্ছে তাও আমি স্থায়ী করে রাখছি৷ প্রত্যেকটি জিনিস আমি একটি খোলা কিতাবে লিখে রাখছি৷ (সুরা ইয়াসীন, ১২) ব্যাখ্যা: এ থেকে জানা যায়, মানুষের আমলনামা তিন ধরনের বিষয় সম্বলিত হবে। এক: প্রত্যেক ব্যক্তি যা কিছু ভালো-মন্দ কাজ করে তা আল্লাহর দফতরে লিখে নেয়া হয়। দুই: নিজের চারপাশের বস্তুসমূহের এবং নিজের শরীরের অংগ-প্রত্যংগের ওপর মানুষ যে প্রভাব (Impression) রাখে তাও সব প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় এবং এ সমস্ত চিহ্ন এক সময় এমনভাবে সামনে ভেসে উঠবে যে, তার নিজের আওয়াজ শোনা যাবে, তার নিজের চিন্তা, নিয়ত ও ইচ্ছা-সংকল্পসমূহের সমস্ত কথা তার মানসপটে লিখিত আকারে দৃষ্টিগোচর হবে এবং এক একটি ভাল ও মন্দ কাজ এবং তার সমস্ত নড়াচড়া ও আচরণের ছবি সামনে এসে যাবে।
|
|||
ইখলাস মানে হচ্ছে: আল্লাহ তা'আলার উদ্দেশ্যে ইবাদাত করা। এক্ষেত্রে অন্য কারো প্রতি ভ্রূক্ষেপ
|
|||
