অধিক কঠোর অথবা অতি সহজ কোনো বিষয় যেহেতু
|
|||
আমার বিয়ের জন্য কেউ কখনো চেষ্টা করেন নি : আমার জন্য পরিবারের কেউ কখনো বিয়ের প্রস্তাব আনেন নি । এটা শুনলে অস্বাভাবিক মনে হতে পারে কিন্তু আসলেই এটা সত্যি। বাবা মারা যাবার পর থেকেই মা অসুস্থ । আমার বিয়ের জন্য মা কাউকে কখনো বলেন না। একদিন শুধু বলেছিলেন , তুই আমার এত আদরের মেয়ে । শ্বশুরবাড়িতে তোকে কষ্ট দিলে আমি সহ্য করবো কিভাবে ? বড় ভাই ভাবিও কখনোই আমার বিয়ের জন্য চেষ্টা করেন না। খালা মামারা মাঝে মাঝে বিয়ের কথা তুললেও মার কথা ভেবেই পিছিয়ে আসেন। আমি শ্বশুরবাড়ি চলে গেলে তাদের এই অসুস্থ বোনের সেবা যত্ন কে করবে ? বড় ভাই ভাবির মনেও এই একই আতঙ্ক ।
|
|||
অনেক অনেক দিন আগের কথা। এক রাজার মাথায় অদ্ভুত এক খেয়াল চাপলো: তিনি পরীক্ষা করবেন যে, “ভাগ্য কি স্রষ্টা নির্ধারিত কোন বিষয়? নাকি চরিত্র ও কর্মের মাধ্যমে মানুষ তা লাভ করে!” কিন্তু কিভাবে তিনি তা পরীক্ষা করবেন? অনেক ভেবে চিন্তে তিনি এক পরিকল্পনা আটলেন। তবে কাউকে তা বললেননা। তিনি গোপনে রাজবাবুর্চীকে দিয়ে দু’টি রুটি তৈরী করালেন। এর মধ্যে একটির ভেতরে ছোট ছোট স্বর্ণের টুকরা এমনভাবে ঢুকালেন যেন বাইরে থেকে কিছুই আচ করা না যায়। যেমন গোপনে রুটি তৈরী করালেন তেমনি গোপনে তা বিতরণেরও উদ্দোগ নিলেন রাজা। ছদ্ধবেশে একজন বিশ্বস্ত সংগী নিয়ে লোকালয়ের উদ্দ্যেশে বের হলেন তিনি। রাস্তার মোড়ে দু’জন ভিক্ষুক পেয়েও গেলেন। কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে দু’টি রুটি তিনি দু’জনকে দান করলেন এবং এক জায়গায় লুকিয়ে রইলেন। রুটি দু’টু নিয়ে দু’জন কি করে তা তিনি প্রত্যক্ষ করবেন।
|
|||
আতা ইবনু আবী রাবাহ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন যে, একদিন আমাকে আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) বললেন: আমি কি তোমাকে একজন জান্নাতী মহিলা দেখাব? আমি বললাম: অবশ্যই। তিনি বললেন: এই যে কালো মহিলাটি দেখছো, একদিন সে রাসুলুল্লাহর সা: নিকট এসে বললো: হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন মৃগী রোগী। প্রায়শ:ই আমি এ রোগের কারনে উলংগ হয়ে পড়ি। আপনি আমার জন্য দুয়া করুন যেন আমি এ রোগ থেকে সম্পুর্ণ আরোগ্য লাভ করি। জওয়াবে রাসুলুল্লাহ সা: বললেন: যদি তুমি ধৈযধারণ কর তাহলে তোমার জন্য জান্নাত। আর যদি চাও তো, আমি তোমার জন্য দুয়া করব যাতে তুমি এ রোগ থেকে সম্পুর্ণ আরোগ্য লাভ করতে পার। মহিলাটি বললো: আমি ধৈযধারণই করবো, তবে আপনি আমার জন্য দুয়া করুন, যাতে আমি এ রোগের প্রকোপে উলংগ না হয়ে পড়ি। রাসুলুল্লাহ সা: তার জন্য সেরুপ দুয়া করলেন। (বুখারী ৯৯/১০। মুসলিম ২৫৭৬ । মুল আরবী)
|
|||
প্রশ্ন : সূরা ইখলাস পাঠ করে কেউ যদি মৃত ব্যক্তিকে ঈসালে সাওয়াব করে, তাহলে মৃত ব্যক্তি কি উপকৃত হবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কি করতেন, কবরবাসীর জন্য তিনি কি তিলাওয়াত করতেন, না শুধু দোয়া করতেন? উত্তর : প্রথমত : আরব বিশ্বের সকল ইসলামী চিন্তাবিদ ও উলামাবৃন্দের মতানুযায়ী এ সাওয়াব মৃত ব্যক্তির নিকট পৌঁছায় না, কারণ এটা মৃত ব্যক্তির আমল নয়। আল্লাহ তাআলা বলেছেন : ﴿وَأَنْ لَيْسَ لِلْإِنْسَانِ إِلَّا مَا سَعَى﴾ {আর এই যে, মানুষ যা চেষ্টা করে, তাই সে পায়।} {সূরা নাজম: ৩৯} এ তিলাওয়াত জীবিত ব্যক্তির চেষ্টা বা আমল, এর সাওয়াব সে নিজেই পাবে, অন্য কাউকে সে ঈসালে সাওয়াব করার অধিকার রাখে না। এ সংক্রান্ত সৌদি আরবের “ইলমি গবেষণা ও ফতোয়ার স্থায়ী ওলামা পরিষদ” এর ফাতওয়া নিম্নরুপ : প্রশ্ন :
|
|||
কুরআন কারিম থেকে.. আমি অবশ্যই একদিন মৃতদেরকে জীবিত করবো, যা কিছু কাজ তারা করেছে তা সবই আমি লিখে চলছি এবং যা কিছু চিহ্ন তারা পেছনে রেখে যাচ্ছে তাও আমি স্থায়ী করে রাখছি৷ প্রত্যেকটি জিনিস আমি একটি খোলা কিতাবে লিখে রাখছি৷ (সুরা ইয়াসীন, ১২) ব্যাখ্যা: এ থেকে জানা যায়, মানুষের আমলনামা তিন ধরনের বিষয় সম্বলিত হবে। এক: প্রত্যেক ব্যক্তি যা কিছু ভালো-মন্দ কাজ করে তা আল্লাহর দফতরে লিখে নেয়া হয়। দুই: নিজের চারপাশের বস্তুসমূহের এবং নিজের শরীরের অংগ-প্রত্যংগের ওপর মানুষ যে প্রভাব (Impression) রাখে তাও সব প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় এবং এ সমস্ত চিহ্ন এক সময় এমনভাবে সামনে ভেসে উঠবে যে, তার নিজের আওয়াজ শোনা যাবে, তার নিজের চিন্তা, নিয়ত ও ইচ্ছা-সংকল্পসমূহের সমস্ত কথা তার মানসপটে লিখিত আকারে দৃষ্টিগোচর হবে এবং এক একটি ভাল ও মন্দ কাজ এবং তার সমস্ত নড়াচড়া ও আচরণের ছবি সামনে এসে যাবে।
|
|||
ইখলাস মানে হচ্ছে: আল্লাহ তা'আলার উদ্দেশ্যে ইবাদাত করা। এক্ষেত্রে অন্য কারো প্রতি ভ্রূক্ষেপ
|
|||
সকাল বেলা রিনি রাতুলের দরজা ধাক্কাধাক্কি করছে।।রিনি রাতুলের ছোট বোন।রাতুল এবার অনার্স ২য় বর্ষে, বশেমুরকৃবি তে।রিনি নবম শ্রেনীতে পড়ে। মা,বাবা,বোন নিয়ে রাতুলের পরিবার।বাবা সরকারি চাকুরে।থাকেন নওগাঁ তে।।রিনি আর রাতুলের মা থাকেন গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড় এ। অনেক ক্ষন ডাকাডাকি আর ধাক্কাধাক্কি করেও রাতুলের রুমের দরজা খুলতে পারল না রিনি। বিরক্ত হয়ে মা কে ডাকতে গেল।রিনি'র মা এসেও ধাক্কাধাক্কি করে দরজা খুলতে পারলেন না।বাধ্য হয়ে দরজা ভেঙে ফেললেন।। ঘর অন্ধকার। জানালা আটকানো। ।পর্দা ফেলা। ভেতরে বোটকা গন্ধ,হঠাৎ একচিলতে শীতল হাওয়া এসে ঝাপটা মারল রিনির মুখে। হাতড়ে হাতড়ে লাইট জালানোর চেস্টা করেও পারল না। । ভাইয়া বলে ডাক দিল।। একটা কাল ছায়া নড়ছে।।আসলে ওইটা একটা বিড়াল ছিল।বিড়াল টার চোখ থেকে সবুজ আলো জলছে। ২ রিনি কিছুই বুঝতে পারছে না।।বাইরে যাওয়ার কথা মনে হল। কিন্তু কোথা দিয়ে ঢুকেছে সেই দরজাও খুজে পাচ্ছে না।।হাতড়ে হাতড়ে একটা মিনি টর্চ পেল।। সুইচ চাপ দিল।।অন্ধকার ফুড়ে আলোর রেখা জলে উঠল।।
|
|||
বিসমিল্লা বেহেশতী হওয়ার জন্য বিবাহিতা হওয়া শর্ত না __ জাবীন হামিদ বেহেশতে যাওয়ার জন্য বিবাহিতা হওয়া শর্ত নয়। তাই যে সব আপুদের বিয়েতে দেরি হচ্ছে , তাদের প্রতি অনুরোধ : এই নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা করবেন না। ঘরে ঘরে আজ বিবাহযোগ্য মেয়ে । আজ থেকে মাত্র ২০/ ২৫ বছর আগেও এমনটা দেখা যেতো না। বিয়ে হতেই হবে এমন তো না । কেয়ামতের দিন তো ইনশাআল্লাহ কোন মেয়ের বেহেশতে যাওয়া আটকে থাকবে না বিয়ে না হওয়ার জন্য। আমরা এমন এক সমাজ তৈরি করেছি যেখানে দ্বীনদারীর চেয়ে মেয়েদের গায়ের রং, চেহারা , বাবার পদমর্যাদা , টাকা পয়সা এসবকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিয়ে হলেই সব সমস্যার সমাধান , তাও তো না।
|
|||
বিসমিল্লাহ , জাবীন হামিদ ডক্টর আকাশের মৃত্যুর পর দেনমোহর এর বিরুদ্ধে অনেকেই কথা বলছেন । বলা হচ্ছে দেনমোহর বেশি থাকায় সে স্ত্রীকে তালাক দিতে পারে নি । আমার জানামতে বিচারকরা কিস্তিতে দেনমোহর পরিশোধের সুযোগ দেন । তাই দেনমোহর এর বিরুদ্ধে কথা না বলে আসুন আমরা বিয়েতে অপচয় এর বিরুদ্ধে কথা বলি । বিয়ে মসজিদে পড়ানো হোক । দেড়শ দুইশ বরযাত্রী বিয়েতে আসে , এটা বন্ধ করা হোক । যৌতুকের টাকা নিয়ে দেনমোহর পরিশোধ করা হয় অনেক বিয়েতে। বাংলাদেশের যে কোন গ্রামে খবর নেন : ছেলেপক্ষ আগে যৌতুকের টাকা নিয়ে সেখান থেকে দেনমোহর কিছুটা পরিশোধ করে, এসব বন্ধ করুন । আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেনমোহর এর সর্বোচ্চ সীমা নির্দিষ্ট করে দেননি। তাই দেনমোহর এর বিরুদ্ধে এত কথা বলা কি ঠিক ? হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু দেনমোহর এর সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করতে চেয়েছিলেন কিন্তু একজন মহিলার প্রতিবাদের ফলে তার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন। আল্লাহ ভালো জানেন।
|
|||
