একবার এক অমুসলিম বুড়ি নুরুদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গিরের দরবারে এসে বলল জাহাপনা আমি আপনার নিকটএকটা নালিশ নিয়ে এসেছি। আমার বাড়ি আপনার বাড়ির নিকটে। আমার ছেলে বতমানে আপনার সেনাবাহিনীর হয়ে যুদ্ধে নিয়োজিত আছে।আমার সুন্দরী পুত্রবধুটি আমার সাথে থাকে। প্রতিদিন রাতে কোন এক বেয়াদব আমার বাড়িতে হামলা করে। আজ রাতেও সে হয়তো আমার পুত্র বধুর ইজ্জত নষ্ট করার চেষ্টা করবে। আপনি ঐ শয়তানের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করুন নতুবা আজ রাতটা আমাদের নিরাপত্তা দান করুন, আগামী দিন ভোর হলেই আমরা আপনার রাজ্য ছেড়ে অন্যত্র চলে যাব। নুরুদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গির চুপ করে রইলেন।বৃদ্ধা তাকে বার বার বলেন আর নরুদ্দিন শুধু চুপ থাকেন, বুড়ি তখন রেগে গিয়ে বললেন।জাহাঙ্গির আমি তোমাকে জন্মাতে দেখেছি। তুমি যদি দায়িত্ব না নাও, আর যদি আজ রাতে আমারপুত্র বধুর ইজ্জত নষ্ট হয়। তবে জেনে রেখ,তুমি যে আল্লাহকে বিশ্বাস কর,কাল কেয়ামতের দিন তোমার সেই আল্লাহর নিকট আমি তোমাকে আসামির কাঠগড়ায়দাড় করাব। নুরুদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গির তখনও কিছু বললেন না। বুড়ি চলে গেলেন। আর সেই রাতে নুরুদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গির নিজেই বুড়ির বাড়ির নিকটে চলে গেলেন। তিনি দেখলেন বাড়ির বাইরে একজন প্রহরী ও একটি ঘোড়া। তিনি প্রহরীকে তলোয়ার দিয়ে হত্যা করে ঘোড়ার পিঠে পা দিয়ে দেওয়াল টপকে বাড়ির ভিতর প্রবেশ করলেন।দেখলেন ভিতর হতে মহিলার চিৎকার। বাইরে বুড়ি বেচারা একা একা টিম টিম আলো জ্বলছে।জাহাঙ্গির বুড়িকে তাড়াতাড়ি আলো নেভাতে বললেন। এরপর তিনি সেই শয়তান টাকে চুলের মুঠি ধরে তরবারি দিয়ে দেহ হতে মস্তক আলাদা করে ফেললেন। এরপর বুড়িকে আলো জ্বালাতে বললেন। তিনি আলোতে মাথাটা ধরে ।আল-হামদুলিল্লাহ বলে মাথাটা ছেড়ে দিলেন। বুড়িকে বললেন আমাকে পানি দাও। তিনি পানি পান করলেন। বুড়িকে পরেরদিন রাজ দরবারে তার পুত্রবধু সহ আসতে বলে তিনি চলে গেলেন। পরের দিন জমজমাট রাজদরবারে বুড়ি তার পুত্রবধুকে নিয়ে হাজির হলেন। জাহাঙ্গির বুড়িকে বললেন তোমাকে কেনআলো নেভাতে বলেছিলাম জানো? বুড়ি বললেন না। জাহাঙ্গির বললেন যখন তুমি আমার কাছে নালিশ করেছো, তখন আমার চিন্তা হলো এ কাজ হয়ত আমার যুবক ছেলের কাজ। যেহুতু তুমি আমার বাড়ির এত কাছে বসবাস কর সুতরাং এত বড় সাহস আমার যুবক ছেলে ছাড়া আর কারো হতে পারে না বলে আমার ধারনা হয়েছিল। আমি চিন্তা করলাম যদি আলোর সামনে আমার ছেলেকে দেখি তবে হয়ত আমার মনে দূবলতা এসে যেতে পারে। তাতে করে আমি ন্যায় বিচারনাও করতে পারি। এজন্য তোমাকে আলো নেভাতে বলেছিলাম। এরপর তাকে হত্যা করে মস্তক আলোতে নিয়ে দেখি সে আমার ছেলে নয়। এজন্য আল- হামদুলিল্লাহ বলেছিলাম। আর পানি পান এরপর সম্রাট নুরুদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গির তার মাথার মুকুট খুলে সেই অমুসলিম বুড়ির পায়ের নিকট রেখে বললেন,বুড়ি জেনে রেখো দিল্লির সম্রাটের এই মুকুটের চাইতেও তোমার পুত্রবধুর ইজ্জত মুসলমানের কাছে হাজার গুণবেশি মুল্যবান। আজকাল বিশ্ব সভ্যতার ধারক বাহক বলে যারা চিত্কার করে।তাদের কোন রাজা বাদশারা তাদের প্রজার সাথে এরূপ সহিষ্ণু আচরণ করে কি?
|
|||
Rate This |
||
|
সালাম
যাজাকআল্লাহ খায়ের । এই কাহিনী অন্য একজন মুসলিম শাসকের জীবনীতে পড়েছিলাম । নামটা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না । কোনটা সঠিক জানি না ।
আপনাকেও সালাম
লেখক আবীর
শিক্ষনীয় ঘটনা বটে
▬▬▬▬▬▬▬▬ஜ۩۞۩ஜ▬▬▬▬▬▬▬▬
স্বপ্নের বাঁধন
▬▬▬▬▬▬▬▬ஜ۩۞۩ஜ▬▬▬▬▬▬▬▬
hmmm ধন্যবাদ
লেখক আবীর
তিনি কি মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর?
গল্পের শেষ টুকু বলেন ঃ বুড়ি বাদশা কে কী বলল?
http://www.youthmention.WordPress.com
http://www.islamicbookhouse.WordPress.com