فَيَوْمَئِذٍ لَّا يَنفَعُ الَّذِينَ ظَلَمُوا مَعْذِرَتُهُمْ وَلَا هُمْ يُسْتَعْتَبُونَ
অর্থ: সেদিন জালেমদের ওযর-আপত্তি তাদের কোন উপকারে আসবে না এবং তওবা করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের সুযোগও তাদের দেয়া হবে না। (সূরা রূম: ৫৭)
এবার জালেমদের কিছু দুষ্কর্ম এবং সেসবের পক্ষে পেশকৃত সম্ভাব্য ওজর-আপত্তির একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা নমুনা হিসেবে নিম্নে পেশ করা হলো:-
অপরাধের নাম
|
অপরাধের অনুকূলে প্রদত্ত ওজর বা বক্তব্য
|
বাচ্চাটাকে এভাবে মেরেছ কেন?
|
সে কোন কথা শোনে না, একদম লেখাপড়া করে না।
|
কাজের মেয়েটাকে এমন করে লাথি দিচ্ছ কেন?
|
১. সে একদম ফাঁকিবাজ, কোন কাজই করতে চায় না।
২. একেবারে অপদার্থ, কিছুই বোঝে না।
৩. আমার বেতন খেয়ে আমার বাচ্চাকে বাদ দিয়ে আরেকজনের বাচ্চার কাছে পড়ে থাকে।
|
নিজের বউকে রেখে পরনারীর কাছে যাও কেন?
|
কী আর করব বলেন, আমার বউটা আমার দিকে ফিরেই তাকায় না, আমাকে কাছে ঘেঁষতেই দেয় না।
|
নারী ধর্ষণ করছ কেন?
|
কী আর করি ভাই, এরা যেভাবে চলে, দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারি না!
|
নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মারছ কেন?
|
কী যে করি ভাই, এত অত্যাচার সইতে না পেরে ধৈর্য্য ধরে থাকতে পারছি না। আমরা তো আর নিজের ইচ্ছায় এসব করছি না, ওরাই আমাদেরকে এগুলো করতে বাধ্য করছে!
|
বউকে/বাচ্চাকে এত কষ্ট দিচ্ছ কেন?
|
আমার শাশুড়ী/মা তো আমাকে কম জ্বালাতন করেনি!
|
নামাজ পড়নি কেন?/বাচ্চাকে নামাজ পড়তে দাওনি কেন?
|
যে পড়ার চাপ ছিল, এর ফাঁকে নামাজ পড়ার সময় কোথায়?
|