
আন্তর্জাতিক বিভাগ: আরবি মাসের নবম মাস
হচ্ছে রমজান মাস। এ মাসে রোজাব্রত পালনের জন্য সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ
মুসলমানেরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোনও ধরনের খাবার গ্রহণ করবেন
না। এর পাশাপাশি নানা ধরনের ইবাদত-বন্দেগি ও দান খয়রাতের মধ্যদিয়ে রমজান
মাস পার করবেন।
বার্তা সংস্থা ইকনা: বিশ্বের মুসলমানদের নিকট এ মাসের বিশেষ গুরুত্ব
রয়েছে। এ মাসে পবিত্র কুরআন নাযিল হয়েছে। পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার
সাথে সাথে এ মাসের সূচনা হয়। চাঁদের ব্যাপারেও বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন মতামত
দিয়ে থাকে। অর্থাৎ একেক দেশে একেক সময়ে চাঁদ দেখা যায়। অনেক সময় ঘন মেঘের
ফলে চাঁদ দেখা দুষ্কর হয়ে যায়।
এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময়ের অনেক
পার্থক্য রয়েছে। যেমন, উত্তর গোলার্ধের (নিরক্ষরেখার উত্তর দিকে অবস্থিত
পৃথিবীর অর্ধাংশ) দেশ সমূহের মুসলমানদের দীর্ঘ সময় ধরে রোজা রাখতে হয়।
যারমধ্যে ডেনমার্কের মুসলমানদেরকে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে রোজা রাখতে হবে।
অপর দিক থেকে দক্ষিণ গোলার্ধের দেশ সমূহের মুসলমানদেরকে স্বল্প সময় ধরে
রোজা রাখতে হয়। যারমধ্যে আর্জেন্টিনার মুসলমানদেরকে সবচেয়ে স্বল্প সময় ধরে
রোজা রাখতে হবে।
২০১৫ সালে যে সকল দেশের মুসলমানেরা সবচেয়ে অধিক সময় এবং স্বল্প সময় ধরে
রোজা থাকবে, সেদেশ গুলো হচ্ছে, ডেনমার্কের মুসলমানদের ২১ ঘণ্টা, সুইডেন ও
নরওয়ের মুসলমানদের ২০ ঘন্টা, রাশিয়ার মুসলমানদের ১৯ ঘণ্টা, বেলজিয়াম ও
নেদারল্যান্ড মুসলমানদের ১৮:৩০ ঘণ্টা এবং আর্জেন্টিনার মুসলমানদের ৯:৩০
ঘণ্টা, অস্ট্রেলিয়ার মুসলমানদের ১০ ঘণ্টা, দক্ষিণ আফ্রিকার মুসলমানদের
১০:৩০ ঘণ্টা এবং ব্রাজিলের মুসলমানদের ১১ ঘণ্টা ধরে রোজা রাখতে হবে।
বার্তা সংস্থা ইকনা