
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিনা ট্রাজেডির দু’দিন পরেও এ প্রশ্ন থেকে যায় যে, কেন এ ভয়ানক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
CNNএর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা: এ পর্যন্ত ১৫টি দেশের কর্মকর্তার নিহতের বিষয় নিশ্চিত করা হয়েছে।
মিনা ট্রাজেডির অনেক কারণ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ
দলিল সমূহ হচ্ছে: সৌদি কর্তৃপক্ষের অবহেলা, হজ ও রামিয়ে জামারুতের অনুষ্ঠান
দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য হাজিদের ব্যস্ততা, অসহ্য গরম, যায়েরদের ক্লান্তি,
যায়েরদের ভিড়, একে অপরকে ঠেলা দেওয়া এবং যে সকল হাজি প্রথম বারের মত হজ
করতে এসেছে তাদের মধ্যে কিছু হাজিদের বিশৃঙ্খলা।

ব্যাপক হাজি এবং অল্প সময়
প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২০ লাখের অধিক হাজি হজ করতে
সৌদি আরবে আসেন এবং এ সকল হাজিদের ৫ দিনের মধ্যে হজ অনুষ্ঠান শেষ করতে হয়।
হজের আমল সমূহের মধ্যে মসজিদুল হারামের কয়েক কিলো মিটারের মধ্যে সাফা ও
মারওয়া এবং মিনায় রামিয়ে জামারুত অন্যতম। হয়তবা বলা যেতে পারে কম সময়ের
মধ্যে এত বৃহৎ সংখ্যক হাজির হজের আমল সমূহ আদয়ের জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
মিনা দুর্ঘটনায় ১৩৬ জন ইরানি হাজি নিহত হয়েছে এবং ৯৯ জন হাজি আহত এবং ৩৬৫ জন হাজি নিখোঁজ রয়েছে।
এ ছাড়াও এ দুর্ঘটনার ফলে বাংলাদেশ, ভারত, মিসর, সোমালিয়া, পাকিস্তান,
সেনেগাল, তুরস্ক, কেনিয়া, আলজেরিয়া, ক্যামেরুন, তানজানিয়া,
ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, ফিলিপাইন এবং নেদারল্যান্ডের হাজিরা প্রাণ
হারিয়েছেন।

চলতি বছর হজ করতে গিয়েছেন ব্লগার ও সাংবাদিক আতহার আলকাটাটানি। তিনি
সিএনএনের সাথে এক সাক্ষাতকারে বলেন, জায়ের যখন একে অপরের বিপরীত দিয়ে
যাচ্ছিল তখন তারা নিজেদের পথ খোলার চেষ্টা করছিল। এর মধ্যে অনেকে মিনার
দিকে যাচ্ছিল এবং অনেক মক্কার দিকে যাচ্ছিল। এ ধরণের বিশৃঙ্খলার ফলে অনেকের
জীবন হারাতে হয়েছে।
উদ্ধার কর্মী ও ইমারজেন্সি বিভাগের কর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌছাতে বিলম্ব
মিনার দুর্ঘটনার কয়েক ঘন্টা পর উদ্ধার কর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তাদের
বিলম্বের ফলে অনেক হাজি নিহত হয়েছে এবং এরফলে গনমৃত্যুর শুরু হয়। যা খুবই
দুঃখজনক এবং ভয়ানক ছিল।

প্রচণ্ড তাপ ও যায়েরদের ক্লান্তি
জায়েররা ক্লান্ত ছিল এবং এ ক্লান্তিকর অবস্থায় ৪৩ ডিগ্রী তাপের মধ্যে তারা
মিনায় অবস্থান করছিল। যার কারণে অনেক হাজি দুর্বল হয়ে পরেছিল।
সৌদি কর্তৃপক্ষের হজ পরিচালনায় অব্যবস্থাপনা
হজে পরিচালনায় অক্ষম ছিল সৌদি কর্তৃপক্ষ এবং এর ফলে অনেক হাজি তাদের জীবন হারিয়েছেন।
এ ব্যাপারে আল মিনার টেলিভিশন চ্যানেলে এক বক্তৃতায় লেবাননের হিজবুল্লাহর
মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন: হজ পরিচালনার জন্য মুসলিম দেশ
সমূহের মধ্যে একটি বোর্ড গঠিত হোক এবং প্রতি বছর এ বোর্ডের মাধ্যমে হজ
পরিচালিত হোক।
বার্তা সংস্থা ইকনা
শোনা যাচ্ছে একদল ইরানী হাজী উল্টো পথে রওয়ানা হওয়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। কতটুকু সঠিক, জানাবেন?
আড্ডার দাওয়াত রইল।
আড্ডার দাওয়াত রইল।
> > > প্রতি শুক্রবার আড্ডা নতুন বিষয়ে আড্ডা শুরু হবে।
সালাম,
ভাই এব্যাপারে আমি কিছু বলতে চাচ্ছিনা। তবে, মিনার দুর্ঘটনার দৃশ্য ইন্টার নেটে প্রকাশ পেয়েছে। সেগুলো দেখলে বুঝবেন দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটেছে এবং ভিডিওতে দেখা যায়, সকল হাজিরা একই দিকে যাচ্ছিলেন। যদি দেখেন তাহলে আপনার কাছে ব্যাপারটি স্পষ্ট হয়ে যাবে।
আল্লাহ হাফেজ