সম্প্রতি আমেরিকার উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ গ্রুপ একটি নতুন
প্রজাতির মৌমাছির সন্ধান পেয়েছে। অথচ ১৪০০ বছর পূর্বে এ ধরণের মৌমাছি
সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে আলোচনা করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা ইকনা:
উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এই প্রজাতির মৌমাছিকে অস্বাভাবিক প্রাণী বলে অবিহিত
করেছে। এই প্রজাতির মৌমাছি পাহাড়ে নিজেদের বাসা নির্মাণ করে।
তারা তাদের এধরণের
আবিষ্কারকে অনন্য বলে দাবী করেছে। অথচ ১৪০০ বছর পূর্বে এ ধরণের মৌমাছি সম্পর্কে পবিত্র
কুরআনে আলোচনা করা হয়েছে। সূরা নাহলের ৬৮ নং আয়াত «وَأَوْحَىٰ رَبُّكَ إِلَى النَّحْلِ أَنِ اتَّخِذِي
مِنَ الْجِبَالِ بُيُوتًا وَمِنَ الشَّجَرِ وَمِمَّا يَعْرِشُونَ:
তোমার প্রতিপালক মধু মক্ষিকার প্রতি (সহজাত প্রবৃত্তিতে)
প্রত্যাদেশ করেছেন, ‘তোমরা পাহাড়ে, বৃক্ষে ও তারা (মানুষেরা)
যে মাচাসমূহ প্রস্তুত করে তাতে গৃহ নির্মাণ কর।
গবেষকগণ বলেছেন: এধরণের
মৌমাছি আমেরিকার কলোরডো প্রদেশ এবং ক্যালিফোর্নিয়ার "ডেথ ভ্যালি" এলাকার
মরুভূমির পাহাড় ও শিলা খনন করে নিজেদের বাসা নির্মাণ করেছে।
এছাড়াও এই মৌমাছি
পাথরের উপর কাছাকাছি উল্লম্ব গর্ত করে নিজেদের বাসা নির্মাণ করে সেখানে থাকে।
এটাই প্রথম বারের
মত নয় যে, বৈজ্ঞানিক ও গবেষকগণ এমন কিছু আবিষ্কার করেছেন যেটার সম্পর্কে ১৪০০ বছর পূর্বে
পবিত্র কুরআনে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে। পবিত্র কুরআনে এমন অনেক কিছু সম্পর্কে আলোচনা করা
হয়েছে,
যেগুলো আবিষ্কার করতে এখনও বৈজ্ঞানিক ও গবেষকগণ অপারগ। এ থেকেই প্রমাণ হয়, এই পবিত্র গ্রন্থ
একমাত্র সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ পক্ষ থেকে এসেছ।
iqna