বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম সংজ্ঞাঃ মুমিন হচ্ছে তারা যারা মুহাম্মদ (সাঃ) এর দাওয়াত গ্রহন করেছেন তাকে নিজেদের নেতা ও পথ প্রদর্শক হিসেবে মেনে নিয়েছেন এবং তিনি জীবন যাপনের যে পদ্দতি পেশ করেছেন তা অনুসরন করে চলতে রাজী হয়েছেন। মুমিনের গুনাবলীঃ মুমিন হতে হলে কিছু গুনাবলী অর্জন করতে হবে।যাদের মাঝে এ গুন অর্জন হবে তাদের ই বলা হয় মুমিন ১.মুমিনরা নামাজে বিনয়ী।২.মুমিনরা বেহুদা বা অপ্রয়োজনীয় কথা এবং কাজ থেকে দূরে থাকে।৩.মুমিনরা যাকাত বা পবিত্রতার কাজে কর্মতৎপর ।৪.মুমিনরা তাদের লজ্জা ইস্তানের হেফাজত করে।৫.মুমিনরা আমানতের খেয়ানত করেনা।৬.মুমিনরা ওয়াদা বা অঙ্গীকার বা প্রতিশ্রতি পালন করে।৭.মুমিনরা নামাযে যত্নবান। মুমিনের কাজঃ একজন মুমিনের কাজ হচ্ছে আমরা যে ঘোষনা দিয়ে মুমিন হয়েছি তা বাস্তবে রুপ দিতে হবে।আমরা যে দাওয়াত গ্রহন করেছি সে দাওয়াত মানুষের মাঝে পোঁছে দিতে হবে।নিজে দাওয়াত গ্রহন করে বসে থাকলে চলবে না একজন মুমিনের কাজ হচ্ছে নিজে যা শিখেছি তা অপরের মাঝে পোঁছে দেয়া।রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বিদায় হজ্জের ভাষনে বলে গেছেন আমার থেকে একটি আয়াত ও যদি জান তা অপরের মাঝে পোঁছে দাও।দাওয়াত সম্পর্কে কুরানের বিভিন্ন জায়গায় বলা হয়েছে।(তার কথার চেয়ে আর কার কথা উত্তম হতেপারে যে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকে,নিজে নেক আমল করে এবং বলে আমি মুসলমান। হা-মীম সিজদা-৩৩) আমরা রাসুল (সাঃ) কে আদর্শ নেতা হিসেবে মেনে নেয়ার যে ঘোষনা দিয়েছি তা বাস্তবায়ন করার জন্য নেতার আদেশ পালন করতে হবে।আমরা আজ যাদের কে নেতা মেনেনিয়েছি তারা আমাদের কি দিচ্ছে ১০০/২০০ টাকার জন্য আজ আমরা নিজের জীবন কে বিলিয়ে দিতে দিধা করিনা।অথচ আমাদের একমাত্র আদর্শ নেতা রাসুল (সঃ) এর জন্য আমরা কি করেছি।রাসুল সঃ বলেছেন তোমরা ততখন পর্যন্ত মুমিন হতে পারবেনা যতোখন না আমি তোমার নিজের জীবন,তোমাদের পরিবার,নিজের সন্তান এবং ধন সম্পদ থেকে প্রিয় না হই।রাসুল সঃ কে ভালবাসার নমুনা হছে সাহাবাই কেরাম,হযরত ওয়াছকুরনী (রাঃ) কতো রাসুল প্রেমী ছিলেন। যখন রাসুলের দন্ত মুবারক শহীদ হল তখন ওয়াছকুরনী রাসুলের প্রেমে পাগল হয়ে তার নিজের সবগুলা দাত তিনি বেঙ্গে পেলেন।একেই বলে রাসুল সঃ এর প্রেম বা তাকে ভালবাসার নজির।এ নজির যদি আমরা পেশ করতে পারি তাহলে ই আমরা সফল হব।আর এ সফলতার জন্য আমাদের বিভিন্ন পরিক্ষার সম্মুখিন হতে হবে। মুমিনের পরীক্ষাঃ দুনিয়াটা হছে মুমিনের জন্য পরীক্ষার স্তান আর কাফেরের জন্য হচ্ছে বোক-বিলাসের জায়গা।আল্লাহ পাক মুমিন বান্দাকে বিভিন্ন ভাবে পরীক্ষা করবেন।এ ব্যাপারে কুরানের ভাষা হচ্ছে,নিশ্চই আমি তোমাদেরকে পরীক্ষা করবো কিছুটা ভয় ভীতি (ভীতিপ্রদ পরিস্তিতি)ক্ষুধা এবং মাল,জান ও ফল-ফসলের ক্ষতির মাধ্যমে।আর ধৈয অবলম্বন কারীদেরকে সুসংবাদ দাও।বাকারা-১৫৫।আমরা যদি আল্লাহর পক্ষথেকে পরীক্ষা কে ধৈযের সাথে মোকাবেলা করি তাহলে ই আমরা সফল হব।সুরা মুমিনুনের পথমে বলা হয়েছে নিশ্চিত ভাবে মুমিনরা সফল হয়েছে। এখানে কেন এতো জোরদিয়ে বলা হলো?ঐ সময়ের পেখাপটে তখন একদিকে ছিলো ইসলামী দাওয়াত বিরোধী সরদার বৃন্দ।তারা ছিল ব্যবসা বাণিজ্যে খুবই উন্নত।এবং টাকা পয়সায় ছিল খুবই ধনাঢ্য।তাদের বিপরীতে ইসলামী দাওয়াতের অনুশারীরা তাদের অধিকাংশ আগে থেকেই ছিল গরীব।এবং এর মধ্যে যারা ব্যবসায় সফল ছিল ইসলাম বিরোধিদের বিরধিতার কারনে তাদের অবস্তাও এখন খারাপ হয়ে গেছে।এ অবস্তায় যখন বলা হল মুমিনরা সফল হয়েছে এ থেকে বোঝা যাচ্ছে আমরা লাভ ক্ষতির যে মানদণ্ড করি তা ভুল।সিমিত ধন সম্পদের যে সাফল্য আসলে তা সাফল্য নয়।আসল সাফল্য হচ্ছে আমরা যে সত্য দাওয়াত গ্রহন করেছি এ অনুযায়ী নিজে চলেছি এ দাওয়াতের দিকে মানুষকে আহবান করেছি এ জন্য বিনিময় হিসেবে দুনিয়াতে সফলতা হিসেবে সম্মান এবং আখেরাতে কঠিন আযাব থেকে মুক্তির ঠিকানা জান্নাত।
|
|||
Rate This |
||
|
ভাল পোস্ট তবে বানানের দিকে আরেকটু খেয়াল রাখবেন , ধন্যবাদ ।
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।আসলে ব্যস্ততার মাঝে লিখা হয় তাই।আর আমি নতুন শিখেছি বাংলা লিখা তাই........
moniruzzaman
সোনালী দিন, বিসর্গে আপনাকে সুস্বাগতম।
চমৎকার বিষয় চয়ন করেছেন প্রথম পোস্টে।
"নির্মাণ ম্যাগাজিন" ©www.nirmanmagazine.com
ধন্যবাদ ফজলে এলাহি ভাই। দোয়া করবেন আর লিখার জন্য প্রেরনা দিবেন আশা করি
moniruzzaman
বিসর্গে আপনাকে স্বাগতম।
এবারের ঈদ-আনন্দে আমার সঙ্গী হবেন?
http://www.bishorgo.com/user/122/post/960
আমার প্রিয় একটি ওয়েবসাইট: www.islam.net.bd
ধন্যবাদ ভাইয়া ঈদ নিয়ে আমিও একটা লিখা দেয়ার চেষ্টা করবো।
moniruzzaman
রুপালী দিন স্যরি সোনালী দিন ভাই অাপনাকে অামাদের এই ব্লগে স্বাগতম।
বিসর্গে আপনাকে সু-স্বাগতম
বিসর্গে আপনাকে দেখে ভালো লাগছে আশা করি নিয়মিত লেখা পাবো।