আমাদের সবার একটাই দেশ, বাংলাদেশ। সকালের নাস্তার গাড়ী আসার অপেক্ষায়। এখনো সকাল মাট পুরটাই খালি।
সকালের নাস্তা দেয়ার জন্য ৬টা টিম করা হয়েছে। এখানে একনাম্বার টিম। সকাল আট’টায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই কর্মব্যস্ত প্রবাসীরা সকল কাজ আনজাম দিয়ে কাতারের প্রতিটা শহর থেকে পিচঢালা কালো পথ মাড়ীয়ে যথাস্থানে যোগদান করেন একটু আনন্দ উপভোগ করার জন্য। শিশু, কিশোর যুবক, বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সব বয়সের পুরুষ/মহিলা যোগদান করেন বনভোজনে। বিকিউএসপি বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব জনাব ‘জুবের আহমদ চৌধুরী’ সাহেবের সার্বিক তত্বাবধানে অনুষ্ঠিত বনভোজনে উপস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন যথাক্রমে হা:আনোয়ারুল ইসলাম, মু:নজরুল ইসলাম, রেজাউল করিম । বিভিন্ন খেলা-ধুলার দায়িত্ব পালন করেন বিশিষ্ট লেখক রেজাউল করিম, ইঞ্জিনিয়ার কামারুল আহসান মিয়া, গোলাম হোসেন সহ আরো কয়েকজন।
শুক্রবার থাকায় র্পাকেএই নামাজ পড়া হয়। এতে নানা পেশার প্রবাসী বাংলাদেশীরা অতিথি হিসেবে বনভোজনে যোগদান করেন। এবং ব্লগের ব্লগার বিশিষ্ট লেখক জানাব ব্লগার আধা শিক্ষিত মানুষ , হাবিব ভাই (বাকপ্রবাস), সাইফুল ইসলাম ভাই, ফয়সল ভাই, জাকির ভাই, রাশেদুল ইসলাম ভাই প্রমুখ।
খবর নিয়ে জানা গেছে অনেকেই চলন্ত বাসের মধ্যে, কেউ মনের হরষে গান শুনছেন আর কেউ জানলার কালার কাচের ফাঁকে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখেছেন। এরই মধ্যে সবার বাস যান ( কেউ বাসে কেউ কার মাইক্রো ) পৌঁছে যায় প্রাকৃতিক সৌন্দেয্যের আল-শামাল সিটি র্পাকে। মুহুর্তে তিন হাজার ড্যালিগাট বনভোজন প্রবাসীদের মিলন মেলায় পরিনত হয়।
দিনব্যাপী পিকনিকে শিশু, কিশোর, মহিলা ও পুরুষদের জন্য বিভিন্ন ধরণের খেলার আয়োজন করা হয়। শিশুদের বিস্কুট দৌড়, মেধা যাচাই, উপস্হাপনা। বড়দের বেলুন ফটানো,অন্ধের হাড়ি ভাংগা,নাটক, কৌতুকাভিনয়, মুহিলাদের জন্য বালিস ,চেয়ার খেলার আয়োজন হয়েছিল। বনভোজনে ছিল ভোজন বিলাসীদের বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবার। এছাড়াও শিশু কিশোরদের জন্য চিপস,সকলেট এবং খেলনার ব্যাপক সামগ্রী।
সবশেষে আয়োজকদের পক্ষ থেকে উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানান এবং মনোমুগ্ধকর বনভোজনকে সার্থক করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন জনাব রশীদ চৌধুরী। বক্তব্যে বললেন।সংস্কৃতি ব্যতিত কোন সভ্য জাতির বিকাশ ঘটতে পারে না। সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়েই একটি সভ্য জাতির বিকাশ ঘটে। সভাপতি আরো বলেন একমাত্র ইসলামই পারে মানবতার মুক্তি দিতে। মানুষের জৈবিক চাহিদার পাশাপাশি মনের খোরাক দিতে হয়। তা না হলে অন্তর মরে যায়। আর সেই মনের খোরাক হলো সংস্কৃতি। এ সংস্কৃতি চর্চা, শ্রবণ, দর্শন সবই মানবজীবনে চলার পথে আত্মার প্রশান্তি জোগায়। তবে এ সংস্কৃতি চর্চা কিন্তু গতানুগতিক হলে চলবে না। আজ একুশে ফেব্রুয়ারী বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে। ২০০০ সালে আমাদের এ গৌরবের মাস পায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। একুশে ফেব্রুয়ারিকে ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়। বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মর্যাদা পেলেও বাংলাদেশের দাফতরিক ভাষা হিসেবে উপেক্ষিত! অতএব,আমাদের উচিৎ ভাষার জন্য জীবন দানকারী বীর সন্তানদের শাহাদাৎ কবুলের জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করা, তাদের নামে দান-সাদাকাহ্ করা, তাদের পরিবারের পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। তাহলেই কেবল শহীদদের আত্মা শান্তি পেতে পারে, অন্যথায় নয়। পারিবারিক এই বনভোজন যেমন ছিল আন্তরিকপূর্ণ তেমনি গোছালো। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো অনুষ্ঠানের কয়েকজনের অক্লান্ত পরিশ্রম বনভোজনকে আনন্দঘন করে তোলে। বনভোজনে আগত সকল শুভানুধ্যায়ীবৃন্দ পুরো অনুষ্ঠানের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায় | সর্বশেষে প্রবাসীরা এক বুক আনন্দ উল্লাস নিয়ে সকলে ছুটে চলে নিজ নিজ গন্তব্যে। ইনশাআল্লাহ পরের পোষ্টে আরো বিস্তারিত পাবেন।
|
|||
Rate This |
||
|
ভালো লাগলো আপনার পোস্ট। ছবি দেখে খুব আনন্দ পেলাম, মনে হলো যেন নিজেও ছিলাম।
"নির্মাণ ম্যাগাজিন" ©www.nirmanmagazine.com