ফোবিয়া হচ্ছে যখন কারও স্বাভাবিক কোন কিছু সম্পর্কে অস্বাভাবিক পরিমান ভয় থাকে। উচ্চতা, মাকড়শা, সাপ, বদ্ধঘর এগুলোকে হয়তো অনেকে অপছন্দ করেন, কিন্তু যাদের ফোবিয়া থাকে, তারা বদ্ধঘরে অক্সিজেনের অভাব হওয়ার আগেই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন, সামান্য উচ্চতাতেই হাত পা কাপাকাপি শুরু করে দেন, ছোট, নিরীহ প্রকৃতির মাকড়শা দেখেও ভয়ে জমে যান। ফোবিয়া দূর করার জন্য মনোবিজ্ঞানীরা বেশ কয়েকটা ভিন্ন পথে আগান, যার একটা হচ্ছে 'এক্সপোজার থেরাপী'। যার উচ্চতার ভয়, তাকে প্রথমে এক তলা, তারপর দো'তালা, তারপর আরেকটু উঁচু জায়গায় নিয়ে আস্তে আস্তে বুঝতে দেয়া যে উঁচুতে উঠলেও আসলে কিছু হয় না, জিনিসটা খুবই স্বাভাবিক। এই যে আস্তে আস্তে এক্সপোজ করে অস্বাভাবিক একটা ভয়কে স্বাভাবিক করে আনা হয়, একে বলা হয় 'ডিসেনসিটাইজেশন'। ডিসেনসিটাইজেশন যেমন মানসিক অসুস্থতা সারাতে থেরাপি হিসেব কাজ করে, তেমনি ভিন্ন ধরণের ডিসেনসিটাইজেশন সুস্থ মানুষকেও মানসিক ভাবে অসুস্থ করে দিতে পারে। এই ডিসেনসিটাইজেশন প্রক্রিয়া ব্যবহার করে আর্মিকে ট্রেইনিং দেয়া হয়। যেই ছেলেটা মাত্র আর্মিতে ঢুকেছে, তার হাতেই চাবুক তুলে দিলে সে ইন্টারোগেশনের সময় সেটা ব্যবহার করতেই পারবে না। তাই আমেরিকানরা একটা দারুণ পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিল। আর্মিতে আসা নতুনদের ইন্টারোগেশন রুমের দরজার বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখতো, ভিতরে সিনিয়ররা ঝাল মিটিয়ে রক্তারক্তি করে ইন্টারোগেইট করতো। বাইরে বসে থাকা নতুনেরা শুধু সেটা শুনতো। পরের দিন, শোনার পাশাপাশি, বাইরে থেকেই দেখার ব্যবস্থা হয়ে যেত। এরপর যখন ওদের হাতে চাবুক তুলে দেয়া হতো, তখন ওরা খুব সহজেই রক্তারক্তি করতে পারত। রিসার্চে দেখা গিয়েছে যেসব শিশুরা এমন ভিডিও গেইম খেলে যেখানে মারামারি, রক্তারক্তি বেশি, সেই সব শিশুরা আস্তে আস্তে সেগুলোকে স্বাভাবিক বলে ধরে নেয়। তখন খেলার মাঠে কাউকে পছন্দ না হলে ঘুষি দিয়ে নাক ফাটিয়ে দেয়া তার কাছে কেবল স্বাভাবিকই মনে হয় না, উচিত বলে মনে হয়। একটা সময় ছিল, খুব বেশি আগে না, একশ-দেড়শ বছর আগেই বিয়ের আগে প্রমিকার হাত ধরতে পারাই ছিল বিরাট ব্যাপার। জেইন অস্টেনের 'এমা' পড়তে গিয়ে চমকে উঠেছিলাম, যখন পড়লাম মিস্টার এলটন ঘোড়ার গাড়িতে 'মেইড ভায়োলেন্ট লাভ টু এমা'। পরে টিচার বুঝিয়ে দিলেন, মিস্টার এলটন জেইনের হাত ধরে প্রেম নিবেদন করেছিল। মাত্র দেড়শ বছরেই মেইকিং ভায়োলেন্ট লাভের সংজ্ঞায় অস্বাভাবিক রকমের পরিবর্তন। উদাহরন দিলাম জেইন অস্টেনের, সেটা মনে আছে বলে, কিন্তু মাত্র একশ বছর আগের শরৎচন্দ্রের সাহিত্যেও থীমটা ওরকমই। মুসলিম সাহিত্যিকদের সাহিত্যে তো ব্যাপারগুলো আরও সিরিয়াস ছিল। মাত্র একশ বছরে পৃথিবীর কি ভীষণ পরিবর্তন। এর কিছু কিছু হয়তো দরকার ছিল, কিন্তু মানুষ সীমারেখাগুলো ধাক্কা দিয়ে সরাতে সরাতে এখন এমন অবস্থায় এসে পড়েছে যে সীমারেখাগুলো এখন কনফিউজিং। যেই বাবা মায়েরা বিয়ের আগে হাত ধরার অধিকার নিয়ে যুদ্ধ করেছিল, তারা হঠাৎ করে টের পেল, তাদের ছেলেমেয়েরা বিয়ের আগে সঙ্গী/সঙ্গিনীর পুরাটুকুই উপভোগ করার অধিকার চায়। আর যেই বাবামায়েরা বিয়ের আগে সঙ্গী সঙ্গিনীর পুরাটুকুই উপভোগ করেছিল, তারা হঠাৎ টের পেল, তাদের ছেলেমেয়েরা আর বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আগ্রহী নয়। এই সামাজিক আন্দোলনগুলো খুব কাছাকাছি হয়েছে। যেহেতু এই সীমারেখা নির্ধারনের একমাত্র একক ছিল মানুষের গণমত, সে জন্য মানুষের গণমত বদলানোর সাথে সাথে এই সীমারেখাগুলো বদলানো কেবল সময়ের ব্যাপার। সমকামিতার ইতিহাস খুবই ইন্টারেস্টিং। আর একশ বছর আগেও সমকামিতা যে কি জিনিস, এবং সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ যে এরকম করতে পারে, সেটা সাধারন মানুষেরা চিন্তাও করতে পারতো না। এই শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় সমকামিতা নিয়ে একটু একটু লেখালেখি শুরু হলো, এবং সেটা থামলো না। আস্তে আস্তে সমকামীদের আন্দোলনের জন্য সমকামিতার যেটা আমার কাছে সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং লাগে সেটা হচ্ছে, ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সমকামিতা মনোবিজ্ঞানীদের জন্য তৈরি করা মানসিক অসুস্থতার লিস্ট আইসিডি-৯ এ ছিল, অর্থ্যাৎ ১৯৯০ সাল পর্যন্ত, মাত্র ২০ বছর আগ পর্যন্ত সমকামিতাকে মানসিক অসুস্থতা হিসেবে গণ্য করা হতো। এরপর ক্লাসিফিকেশনটা বদলানো হয়েছে গণমতের চাপে পড়ে। এরপরে শুরু হলো অদ্ভূত সব ব্যাপার। মানুষ বিয়ে করে, ২/৩ বাচ্চার বাবা মা হয়ে হঠাৎ করে বলা শুরু করলো, এখন আর সে নিজের স্বামী/স্ত্রীর প্রতি আগ্রহ নয়, তার সমকামিতার আগ্রহ হচ্ছে। এরকম খবর এখনও পর্যন্ত পত্রিকায় আসছে প্রায়েই, তাই গুগল সার্চ করলেই পাবেন অনেক খবর। সমকামিতা থেকে সমস্ত ট্যাবু উঠানোর আইনী ব্যবস্থা নেয়া হলো। ১৯৮০ সালের আমেরিকাতেও মাত্র ৩৪% মানুষ ভাবতো, সমকামিতা (নিজের জন্য না হলেও অন্য মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে) গ্রহনযোগ্য একটা জীবন পদ্ধতি। এখন সংখ্যাটা আরও অনেক বড়। এখন সমকামিতার কনফেশন মোটামোটি একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এত কথা বলার কারণ সমকামিতা নিয়ে কথা বলা না, যৌনতা নিয়ে আমাদের সামগ্রিক ডিসেনসিটাইজেশন নিয়ে বলা। কখনও ভেবেছেন, আমরা নিজেরাই যেই সীমারেখা নিজ হাতে দূরে ঠেলছি, বড় করছি, এর পরিনতি কোথায়, শেষ কোথায়? চিন্তাগুলো আসলো, চার্চের শিশু যৌন নির্যাতনের খবরগুলো পড়তে গিয়ে। পেডোফিলিয়া জিনিসটা এত জঘন্য, যে আমি খবরগুলো প্রথম দিকে এড়িয়ে চলছিলাম। এখন দেখলাম, ইস্যুটা পোপ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে, তাই পড়তে পড়তে বেশ কিছু উদ্ভট খবরের মুখোমুখি হলাম। একটা হচ্ছে, ২০০৩ সালে আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশনের বাৎসরিক সম্মেলনে আমেরিকার বড় সড় মনোবিজ্ঞানীদের মধ্যে বেশ এক পরশ বিতর্ক হয়ে গিয়েছে, 'পেডোফিলিয়া' কে কি মানসিক অসুস্থতা হিসেবে রাখা হবে, নাকি হবে না, সেই নিয়ে। আমি খবরটা পড়ে কিছুক্ষন থ' মেরে বসে থাকলাম। এও সত্যি হতে পারে! পেডোফিলিয়া, ছোট ছোট নিষ্পাপ শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন মানসিক অসুস্থতা নাকি সুস্থতা, সেটা নিয়েও মানুষ 'বিতর্ক' করতে পারে? এটা কি সত্যিই সম্ভব? চোখের সামনে ভেসে উঠলো অসংখ্য খবর, বেশ কিছু মানুষের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, কখনও নিজের বাবা, কখনও চকলেটের লোভ দেখিয়ে প্রতিবেশী, কখনও চার্চের প্রিস্ট, নিষ্পাপ শিশুদের টলটলের মনের সুযোগ নিয়ে সারা জীবনের জন্য ক্ষত সৃষ্টি করে দেয় ওদের মনে। একদিনের অল্প কিছু সময়ের জন্য এক এক জন মানুষের সারা জীবন বদলে গিয়েছে। হয় তারা নিজেরাই অসুস্থ হয়ে গিয়েছে, না হলে অস্বাভাবিক সব ফোবিয়ায় ভুগেছে। এই পেডোফিলিয়া মানসিক অসুস্থতা কি না, সেটাও বিতর্কের বিষয় হতে পারে?
খুব ভয় হলো আমার, আমরা কি ভয়ংকর একটা পৃথিবী তৈরি করছি আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য, যেখানে ওভার এক্সপোজারের জন্য অসুস্থ একদল চরম ডিসেনসিটাইজড মানুষ থাকবে কেবল, যাদের কাছে কোন সীমারেখাই অর্থবহ হবে না, কোন বিকৃতিই আর বিকৃতি থাকবে না...
|
|||
Rate This |
||
|
দীর্ঘ লেখাতে আপনাকে স্বাগতম। পড়িনি এখনো। সময় নেই হাতে এখন। পড়ে পরে মন্তব্য করছি....।
"নির্মাণ ম্যাগাজিন" ©www.nirmanmagazine.com
পেডোফিলিয়াকে সমকামিতার মত সহজ করে দেখার সম্ভাবনা অদূর ভবিষ্যতে দেখছি না। কারণ এর সাথে বাচ্চাদের অধিকার জড়িত। আমার যেটা ভয় হয় সেটা হচ্ছে, এটা অন্য ফর্মে আসতে পারে - যেখানে শিশুদের কাছে যৌনাচার অস্বাভাবিক কিছু মনে হবে না। অনেকটা এখনকার অবিবাহিত বহুগামী নারীদের মত। নিজেদের সতীত্ব এতবার বিসর্জন দেওয়াটা ওদের কাছে এখন খুব সাধারণ একটা ব্যাপার হয়ে গিয়েছে।
"যেটা ভয় হয় সেটা হচ্ছে, এটা অন্য ফর্মে আসতে পারে - যেখানে শিশুদের কাছে যৌনাচার অস্বাভাবিক কিছু মনে হবে না।"--- পেডোফিলিয়ার সংজ্ঞা হচ্ছে যখন প্রাপ্তবয়স্ক কেো অপ্রাপ্তবয়স্ক কারো সাথে যৌনাচারে লিপ্ত হয়। যদি শিশুদের কাছে যৌনাচার অস্বাভাবিক কিছু মনে না হয়, তাহলে নিশ্চয়্্ি গন্ ্ান্দোলন হবে, যেখানে পেডোফিলিয়ার সংজ্ঞা বদলাতে হবে...
স্বরবণ লিখতে পারছি না, রেফ লিখতে পারছি না।
যদি সবার (অথবা অধিকাংশের) কাছে অস্বাভাবিক না লাগে তাহলে গণআন্দোলন হবে কেন বুঝছি না... ডিসেনসিটাইজ করাটা আসলেই ভয়ানক। এতে সাধারণের কাছে ভালো/খারাপের সংজ্ঞা পরিবর্তন হয় যায়।
ধন্যবাদ সময়োপযোগী লেখার জন্য।
একটি গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি। দ্রুত বাংলাদেশেও পিশাচেরা থাবা বিস্তার করছে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে এককোটি নাগরিকের উপর সমকামিতার লেবেল দিয়েছে দৈনিক জনকন্ঠ, বলাই বাহুল্য তাদের কথা মেনে নিলে বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক ৫০% সমকামী। আসলে সবকিছুই করা হচ্ছে সমকামিতাকে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। ইসলামের অগ্রযাত্রা রোধে এরচেয়ে মোক্ষম অস্ত্র শয়তানের কাছে আর কিছু নেই।
প্রতিরোধের সময় এসেছে, প্রয়োজনে ইসলামপ্রিয় জনতাকে নির্মম হতে হবে।
http://www.shahriar.info
আমি ভয় পাচ্ছি অন্য জায়গায়। পৃথিবীর দেশে দেশে এসব অনাচার যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে আমাদের মত দেশগুলো এবং সাধারণ মুসলিম পরিবারগুলো কতদিন রক্ষা পাবে এসব থেকে।
তবে সান্ত্বনা এই যে, ইসলাম এমন এক সুরক্ষিত দূর্গ তার অনুসারীদের জন্য যেখানে পৃথিবীর যে কোন বিনষ্টকারীর পক্ষেই কিছু করা সম্ভব হবে না। অবশ্য যদি মানুষ তা চায়।
লেখাটি নিঃসন্দেহে সময়োপযোগী। ধন্যবাদ সন্ধ্যাবাতি।
"নির্মাণ ম্যাগাজিন" ©www.nirmanmagazine.com
অনেক দিন পর এই ব্লগে একটি তথ্যবহুল লেখা তৃপ্তি সহকারে পড়লাম। লেখিকাকে ধন্যবাদ।
http://bangla.irib.ir/
প্রথম দিকে লবী গ্রুপের ধাক্কা লাগবে, মিডিয়ার সাহায্য লাগবে, তারপরে 'অধিকাংশ' হাত হয়ে যাবে... সেটাকেই গণআন্দোলন বলেছি।
এটা একটা জার্নাল আর্টিকেলের এবস্ট্রাক্ট, পড়ে দেখো, ভাবনার খোরাক পাবে!
Review of Children and sexuality: From the Greeks to the Great War.deMause, LloydThe Journal of Psychohistory. Vol 36(1), Sum 2008, 94-95.Abstract
আজকে খবরে দেখলাম, একটি সেমিনারে একজন মহিলা ডেলিগেট বক্তৃতা করছেন ইভটিজিং রোধে করণীয় বিষয়ে। এক পর্যায়ে যা বললেন তার ভাবার্থ এরূপ:
"আমাদের শিশু-কিশোররা পরিবেশগত কারণে সেক্স সম্পর্কে অজ্ঞ থেকে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে একটি ছেলে একটি মেয়েকে মানুষ মনে করতে পারছে না, একটি 'মেয়ে' মনে করে। আর এসব হচ্ছে তাদের মধ্যে সেক্স সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকার কারণে। ওরা সব খবরই রাখে এ সম্পর্কে, সব ধরনের আলাপ-আলোচনাও ওদের মধ্যে হয়, কিন্তু তারপরও আমাদের শিক্ষানীতি নির্ধারকরা কেন যে তাদের হাতে সেক্স শিক্ষার বইগুলো তুলে দিচ্ছেন না এটাই বুঝে আসে না।" [টিভি চ্যানেল]
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এখানে বক্তা কি বুঝাতে চাইলেন? সেক্স শিখলে কিশোর-কিশোরীরা পরস্পর পরস্পরকে এ বিষয়ে উত্যক্ত করা বন্ধ করে দেবে? না কি পশ্চিমের মত আরো নিখুঁতভাবে সেসবে লিপ্ত হবে?
সামাজিক এসব অবক্ষয়ের আসল কারণ যেন এরা দেখেও দেখছে না। বরং এসব বিষয়কে ইস্যূ করে নানা সেমিনার সিম্পোজিয়াম করে তাদের হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে। আমার অন্তত এটাই মনে হয়েছে। [খবরগুলো হয়ত পত্রিকায় পাওয়া যাবে, যেহেতু টিভিতে এসেছে।]
"নির্মাণ ম্যাগাজিন" ©www.nirmanmagazine.com
এত লম্বা লম্বা কমেন্টের মাঝে ছোট কমেন্ট করতে লজ্জা লাগছে।
www.somewhereinblog.net/blog/lalsalu
বিষয়টি আসলেই আলোচনার দাবী রাখে। তবে আলোচনা জমে উঠার ক্ষেত্রে ছোট ছোট মন্তব্যও বিশেষ ভূমিকা রাখে।
দৃষ্টি আমার অপার সৃষ্টি ওগো.... ! @ www.fazleelahi.com
চমৎকার লিখেছেন। শোকরিয়া
আ.শহীদ
ডিসেনিটাইজেশনের যে পর্যবেক্ষন আপনি তুলে ধরেছেন, আমি বলব, এটা চমৎকার। ইভান পাভলভ আপনার পর্যবেক্ষনকে অন্যভাবে তুলে ধরেছেন তার "ক্লাসিক্যাল কন্ডিশনিং" থিওরিতে। http://en.wikipedia.org/wiki/Classical_conditioning।
কিন্তু মানুষের এরকম হবার কথা ছিলনা। মানুষ কুকুর নয় যে তাকে যেই স্টিমুলাস দেওয়া হোক না কেন সে কাঙ্খিত রেসপন্স করবে। বরং তার রেসপন্স হওয়া উচিত তার নিজস্ব বিচারবোধের ভিত্তিতে। অথচ যা হওয়া উচিত তা হচ্ছে না। কেন?
কারন সমাজের কিছু সংখ্যক মানুষ অধিকাংশ মানুষকে তাদের "ধারনার দাসে" (ideological/philosophical enslavement) রুপান্তরিত করেছে।
এই ডিসেনিটাইজেশন ঠেকানোর একমাত্র উপায় হলো, মানুষের মধ্যকার অাভ্যন্তরীন শক্তির বিকাশ ঘটানো। যাতে সে নিজেই চিন্তা ও বিচার করতে পারে।
www.youthinkers.com
দারুন পোস্ট। মানসিক সমস্যা গুলান অস্বাভাবিক পরিবেশের কারনে তৈরি হয়।
অসাধারন পোষ্ট... কিন্তু সেই ভয় আর শংকা। সমস্যা চারিদিকে। কিন্তু সমাধান কই? ধর্মের কথা কইলেই তো হবেনা। বুদ্ধিবৃত্তিক উপায়ে সেটাকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করাতেই আমাদের সফল মূর্খতার পরিচয় আমরা তুলে ধরি।
সালাম
বিডি নিউজে সম্প্রতি সমকামিতার পক্ষে বড় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে । বেশ কিছু পাঠক একমত যে সমকামিতাকে দেশে স্বীকৃতি দেয়া উচিত । এসব লেখক - অনুবাদক কারা ? কারা এদের পৃষ্ঠপোষক ? এদেরকে থামানোর জন্য যে জনমত গড়ে তোলা দরকার , সে দায়িত্ব আমাদের সবাইকে পালন করতে হবে ।
আসুন , আমরা এসব বিকৃত মানসিকতার প্রতিবেদন যারা প্রচার করবে , তাদের কাগজ পড়া/ সাইট পরিদর্শন থেকে বিরত হই । অন্য ব্লগ / ফোরামে ইসলামিক আদর্শমূলক লেখা বেশী বেশী করে প্রচার করি । আল্লাহ তওফীক দিন ।