|
|
|
|
লিখেছেন: মোহভঙ্গ || বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৮ - ৮:৩০বিকাল
|
মুসলমানরা বড়ই অসহিষ্ঞু, কারণ—
অমুসলিমরা শূকরের মাংস খুব পছন্দ করে খায়, অথচ মুসলমানরা শূকরের মাংস দেখে ভ্রূকুঞ্চিত করে, ঘৃণা প্রকাশ করে। (লক্ষণীয় যে, মুসলমানরা ওটা দেখে ঘৃণাবোধ করে জেনেও মুসলমানদের সামনে খাওয়াটা অনুদারতা বা অসহিষ্ঞুতার পরিচায়ক কিনা, তা এখানে বিবেচ্য বিষয় নয়।)
|
অমুসলিমরা কেউ কেউ গরু খাওয়াটা অপছন্দ করে, অথচ মুসলমানরা তাদের সামনে গরুর গোশত খায় বা গরু জবাই দেয়। (লক্ষণীয় যে, মুসলমানরা গরুর গোশত খেতে পছন্দ করে জেনেও মুসলমানদের সামনে ওটার ব্যাপারে অপছন্দ বা আপত্তি জানানোটা অসহিষ্ঞুতার পরিচায়ক কিনা, তা এখানে বিবেচ্য বিষয় নয়।)
|
মুসলমানদের আযানের দ্বারা বা সশব্দে নামায পড়ার দ্বারা অন্যদের নিদ্রায় বা কর্মে ব্যাঘাত হয়। (লক্ষণীয় যে, মুসলমানদের আযানের বা নামাযের শব্দে অস্বস্তি ও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করা এবং কোন কোন ক্ষেত্রে হত্যা বা নির্যাতন করাটা অসহিষ্ঞুতার বহি:প্রকাশ কিনা, সেটা এক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয় নয়।)
|
পূজা বা যেকোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রাতভর ঢোল-তবলার শব্দ মুসলমানরা একটু সহজভাবে উদারভাবে মেনে নিতে পারে না, নিদ্রায় বা ধর্মকর্মে একটু ব্যাঘাত ঘটলেই বিরক্তিবোধ করে। (লক্ষণীয় যে, এখানে উচ্চস্বরে রাতভর শব্দদূষণ ঘটিয়ে মুসলমানদের নিদ্রা বা এবাদতে বিঘ্ন ঘটানোটা অনুদারতা ও অসহিষ্ঞুতার বহি:প্রকাশ কিনা, তা এক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয় হবে না।)
|
সমকামিতা, পতিতাপ্রথা ইত্যাদি বিষয়গুলো সহজভাবে মেনে নেবার মতন উদারতা মুসলমানরা দেখাতে পারে না; বরং এসব কর্মে লিপ্ত ব্যক্তিদেরকে মুসলমানরা দুশ্চরিত্র ও লম্পট বলে আখ্যায়িত করে— যা কিনা চরম অসহিষ্ঞুতার পরিচায়ক এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শনের শামিল। (মুসলমানরা এগুলো দেখে অপছন্দ ও বিব্রতবোধ করে জেনেও তাদের সামনে এগুলোকে বৈধ করা ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করাটা সহনশীলতা ও পরমতসহিষ্ঞুতার মধ্যে পড়ে কিনা, সেই প্রশ্ন এখানে অনুপস্থিত।)
|
অন্যান্য ধর্মে একাধিক বিয়ে অনুমোদিত না হওয়া এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা একাধিক বিয়েকে অপছন্দ করা সত্ত্বেও মুসলমানদের ধর্মে এটাকে বৈধ রাখা হয়েছে এবং মুসলমানরা একাধিক বিয়েকে গ্রহণ করেছে; যা অন্যদের প্রতি অসহিষ্ঞুতা প্রদর্শনের পরিচায়ক এবং লাম্পট্যও বটে! (এখানে মুসলমানদের ধর্মে একাধিক বিয়ে অনুমোদিত হওয়া সত্ত্বেও এটাকে মন্দ বলাটা
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
কোন স্টাইলের লেখার মধ্যে পড়ে এইটা?
লেখাটা বিতর্কের দাবী রাখলেও শিরোনামটা শুরুতেই বিতর্কিত হয়ে গেল।
দৃষ্টি আমার অপার সৃষ্টি ওগো.... ! @ www.fazleelahi.com
ধন্যবাদ মন্তব্যে লেখাটার আসল উদ্দেশ্য পরিস্কার করে তুলে ধরার জন্য।
পরামর্শ থাকলো: লেখা ছোট হলেও পুরোটাই দিন অথবা পর্বে। উপসংহার নিয়ে আশা করছি আরেকটি পোস্ট আসবে।
আমার প্রিয় একটি ওয়েবসাইট: www.islam.net.bd
আস সালামু আলাইকুম ,
ভাল লেগেছে । ভাল যুক্তি দিয়েছেন ।