বৃদ্ধাশ্রম মাঈন উদ্দিন তুই তো কপালপোরা,সত্তি করে বল মা- তোর পেটের সন্তানের যখন এতটুকো মায়া নেই ফেলে আসে তোকে আশ্রমের বুকে,কেন করিস তারে ক্ষমা? হয়ত তোর বয়স চল্লিশ পেরিয়ে ষাট কিংবা অশীতিপর বৃদ্ধা তাই বলে এই হবে তোর গর্বে থাকা বৎসের তোর প্রতি শ্রদ্ধা? তোর রুগ্ন-ভগ্ন এই শরীর বোঝা মনে হয় তার হায়! এই বুঝি মায়ের প্রতি সন্তানের বিচার? কাঁদিসনে মা,আর কী-ই বা বলতে পারি তোকে? কলম কাঁপতে থাকে এমন হতভাগী সব মায়ের শোকে বৃদ্ধাশ্রম,আহা!কলিজায় লাগে এই নাম হাজারো মায়ের তিক্ত অশ্রুতে সিক্ত এই ধাম এই কালে মায়েরে তোরা যেসব ছেলে বলিস হতচ্ছাড়া বুড়ি বল হে জন্মকালে কোন সে রমনী রেখেছিলো তোকে স্তনবক্ষে জড়ি? শত কষ্টের কিঞ্চিৎও তুই দেখিসনি হে, এই মায়ের গর্ভেই একটি ভ্রূণ থেকে ক্রমবিকাশী শিশু আর এই মায়ের জরায়ু পথেই এসেছিলি প্রথম,ওহে প্রাংশু জন্মের পর তুই ছিলি এক পঙ্গুমত অচর শিশু অথচ মা আগলে রেখে তখন বলেছিল,এই আমার পবিত্র যিশু তোর মলমূত্র সাফ করিতে মা কখনো বলেনি হতচ্ছাড়া ছোঁড়া আগলে রেখে বক্ষে,বড় করেছিল হায় শুনিতে পুত্রের মুখে কানাখোঁড়া তুই সেই শিশু আজ মায়েরে ভাবিস দুনিয়ার সব বোঝা! মৃত্যুশয্যায় শোয়া মায়েরে কেন দিস এই বিষফোঁড়া লজ্জা? মনে রাখিস হে, যেজন নিজ মায়েরে বলে হতচ্ছাড়া বুড়ি- সেই প্রাংশুও একদিন হবে খাপছাড়া বুড়া! মায়ের অশ্রুর কারণ সেদিন বুঝবি যখন পৌছবি তুই ষষ্ঠির বয়ঃক্রম সেদিন জীর্ণদশায় সন্তান তোর পাঠাবে তোকে নিজ মায়েরে রাখা বৃদ্ধাশ্রম!
|
|||
Rate This |
||
|