কুরআনে জ্বীনের অস্তিত্বের কথা আছে, তাই সন্দেহাতীত ভাবে সেটাতে বিশ্বাস করি। কিন্তু একটা জিনিষ মাথায় ঢোকে না যে জ্বীন খামাখা মানুষের ঘাড়ে চড়ে বসে থাকবে কেন? যাইহোক জ্বীনে ধরার ব্যাপারে আমার অবিশ্বাস প্রবল, কারণ বাস্তবে যতগুলো জ্বীনে ধরা কেইস দেখেছি সবগুলাই আসলে মানসিক সমস্যা। মাঝখান থেকে হুজুরেরা ঝাড়ফুকের নামে কিছু ইনকাম করেন। আজকে ফেইসবুকে একজনের স্ট্যাটাস আর তাতে কমেন্ট দেখে হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যাবার অবস্থা। ভাবলাম সবার সাথে শেয়ার করিঃ) স্ট্যাটাসঃ কমেন্টঃ ১। অন্য স্কুলে ভর্তি করে দিন। ২। প্রস্রাব করেই এই অবস্থা, হাগু করলে কি হত? ৩। সে হুজুরের উপর পেশাব করে দিলে আশা করা যায় জ্জিন চলে যাবে. শুধু যাবে না তাকে এ তল্লাটে দেখাও যাবে আগামী একশ বছর ৪। দশ-বারো বছরের ছেলের 'পেচ্ছাব' এ যদি জ্বীন মরে যায়,তাহলে তার 'পেচ্ছাব' নিয়ে গবেষণার জোর দাবী জানাই
|
|||
Rate This |
||
|
আমি জিনে বিশ্বাস করি।
কারণ ছোট বেলায় টের পেয়েছি।
দেখার বা অনুভব করার ইচ্ছা ছিল তবে সাহস করতে পারিনি :)
কিভাবে টের পেয়েছিলেন, একটু বিস্তারিত বলবেন?
অনুরণন ভাই, জ্বিনে ধরার ব্যাপারটা আমিও লক্ষ্য করেছি গ্রামে থাকাকালীন।
একবার দেখলাম-
বিকেল বেলায়। নানাবাড়ীর এক গৃহবধুকে নাকি জ্বিনে ধরেছে। আমরা ফুটবল খেলছি বাড়ীর উঠোনে। যে ঘরে সেই গৃহবধুকে রাখা হয়েছে সেখানে অনেক মহিলা জড়ো হয়ে আছে। হঠাৎ শুনি চিৎকার এবং যে ঘরে তাকে রাখা হয়েছে সে ঘরের এক কোণে বাঁশের বেড়া খুব একটা মজবুত না। আমরা আশ্চর্য হয়ে দেখলাম যে, ঘরের ভেতর থেকে গৃহবধুকে সবাই টেনে ধরে রেখেছে আর তার মাথা ধরে যেন কেউ টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেছে; এভাবেই মাথাটা উপর-নিচ করছে। অথচ মহিলা তখনো অজ্ঞান। দিনের আলোয় ঘটেছে এসব ঘটনা।
আবার দেখলাম-
সন্ধ্যার পর নানাদের দু'টো ঘরের অপেক্ষাকৃত ছোট ঘরটির বাঁশের বেড়ায় শব্দ হচ্ছে। কিছুক্ষণ পরপর। আমি আর খালা হারিকেন নিয়ে দেখে এলাম, হয়ত বিড়াল। কিন্তু যেই না আমরা ফেরার জন্য দরজামুখো হলাম, অমনি আবারো একই শব্দ, আবার ফিরে কিছুই দেখতে না পেয়ে ভীত হলাম। ঠিক তার সামান্য সময় পরেই খালার ছোট মেয়েছি অসম্ভব চিৎকারে কান্ন শুরু করলো। উল্লেখ্য যে, আগেও এ ধরনের বহু সমস্যা হয়েছে তার সাথে। মজার ব্যাপার হলো বাচ্চাকে কোনভাবেই কান্না থামানো যাচ্ছিলো না। হঠাৎ এক নানী জয়তুনের তেল এনে তার মুখে মাখতে চাইলে সে কিছুতেই দিবে না। সবাই মিলে জোর করে মেখে দেয়ার সাথে সাথেই সে যেমন ঘুমে ছিল তেমনি ঢলে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো তার মায়ের কোলে।
এরূপ আরো কিছু ঘটনা টের পেয়েছি।
"নির্মাণ ম্যাগাজিন" ©www.nirmanmagazine.com
প্রথম ঘটনার লৌকিক ব্যাক্ষা দেয়া সম্ভব :)
যেটা বুঝলাম না সেটা হলো, জ্বীনের সাথে কি জয়তুন তেলের শত্রুতা আছে?
আমিও বিশ্বাস করি!!
আসলে আল্লাহর বানীতে যেহেতু আছে জ্বীন ও মানুষের হিসাব হবে সে হিসেবে জ্বীন থাকাটাও প্রকৃত সত্য!!
মহান মহীয়ান সবাইকে হেফাজত করুন!!
লেখককে ধন্যবাদ
জ্বীনের উপস্থিতি অবশ্যই সত্য।
যেটা নিয়ে আমি সন্দিহান, সেটা হলো, মানুষের উপরে তার প্রভাব।
আমি একটা সহজ জিনিষ বুঝিনা, যেই সব হুজুরেরা জ্বীন পোষেন, বা যোগাযোগ করতে পারেন, তারা এই জ্বীনগুলা দিয়ে নেতিনিয়াহু, বুশ বা হাসিনার গালে চটকানা দিতে পারেন না কেন। বা জ্বীনেরা নিজেরাই স্বউদ্যোগে এটা করতে পারে। ঐটা করলেতো দুনিয়ার অর্ধেক সমস্যা চুকে যায়। তা না করে গ্রামের নীরিহ বাচ্চা কাচ্চা আর মহিলার উপর উৎপাত করে কি লাভ?
আমরা জুনিয়র হাইস্কুলে পড়ার সময় আমাদের এক সহপাঠিনী জ্বিনের আসরের শিকার হয়। তাকে মাঝে মাঝে রাতে ঘরের টিনের চালের উপর পাওয়া যেত।
সেটা কি জ্বীনে ধরা না স্কিজোফ্রেনিক ? :)
জানিনা স্কিজোফ্রেনিয়া কিনা? তবে ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকা অবস্থায় তাকে চালে পাওয়া যাওয়া অস্বাভাবিকই বটে।
আমি জ্বীনের সাথে কথা বলেছি
সর্বনাশ, একটু বিস্তারিত বলেন।
সম্ভব হলে পোষ্ট দেন
আমার এক স্টুডেন্ট পড়তে পড়তে থুথু ফেলায় তারপর হাত তালি দেয়..
সেই সময় তাকে ধরে রাখা যায় না. এদিক ওদিক চলে যাওয়ার চেষ্টা করে.
তাকে জোর করে শুয়ে দিতে পারলে সাথে সাথে ঘুম পড়ে.
তারপর তার কাছে ঐ বিষয়ে জিগ্যাসা করলে, বলে সে কিছুই জানে না.
ব্যাপারটা রহস্য জনক
http://www.youthmention.WordPress.com
http://www.islamicbookhouse.WordPress.com
আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! আল্লাহ সাহায্য করুন ও হেফাজত করুন সবাইকে!
▬▬▬▬▬▬▬▬ஜ۩۞۩ஜ▬▬▬▬▬▬▬▬
স্বপ্নের বাঁধন
▬▬▬▬▬▬▬▬ஜ۩۞۩ஜ▬▬▬▬▬▬▬▬
এ হল গিয়ে সাধারণ নিয়ম। কিন্তু মাঝেমধ্যে যে এর ব্যতিক্রম হতে পারবে না তা নয়। সাধারণ নিয়ম ভেঙ্গে দু-একটা ছিঁচকে টাইপের দুষ্ট জিন কোন সাধারণ বা অসাধারণ মানুষের উপর আছর করে থাকতেও পারে। জিনের আছর, যাদুটোনা এগুলো যে একেবারে মিছা নয়, এসবের মাঝে যে কিছু সত্যতাও আছে, সূরা ফালাক ও সূরা নাস নাযিল হওয়াটাই তার প্রমাণ। লক্ষ্য করে দেখবেন, এ দুটি সূরায় যাবতীয় সৃষ্টির অনিষ্ট হতে, যাদুটোনার কবল থেকে এবং জিন ও মানুষ শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা শেখানো হয়েছে। সূরা নাসে নাহয় শুধু কুমন্ত্রণার কথা বলা হয়েছে, জিনেরা শারীরিকভাবে মানুষকে নাজেহাল করতে পারে কিনা তা বলা হয়নি। কিন্তু সূরা ফালাকে যাবতীয় সৃষ্টির অনিষ্ট হতে ও গভীর অন্ধকারাচ্ছন্ন রাতের অনিষ্ট হতে আশ্রয় প্রার্থনা করানো হয়েছে। এর মাঝে এই ইঙ্গিত থাকতে পারে যে, অন্ধকার রাতে হিংস্র জীবজন্তুসহ ক্ষতিকর জীনেরও উপদ্রব ঘটে থাকতে পারে।
জীন ছাড়ানো নিয়ে প্রতারণা ও ভণ্ডামি অনেকে করে থাকে একথা সত্য। কিন্তু জিন তাড়ানোর কাজ যারা করে তারা সবাই যে ভণ্ড এমনটি নাও হতে পারে। বরং গ্রামে-গঞ্জে বাস্তবেও এমন মানুষ দেখা যায়, যারা সত্যিকারেই জিন ছাড়ানোর কাজ করে থাকেন।
আমার মতে, রোগ-ব্যাধি, দুর্ঘটনা বা যেকোন সমস্যা দেখা দিলে কোনপ্রকার diagnosis না করেই কোন একটা ফয়সালা করে দেয়া ঠিক নয়। কোনকিছুর সম্ভাবনা নিশ্চিতভাবে জোর দিয়ে বলাও ঠিক নয়, আবার তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়াও উচিত নয়। বরং শারীরিক সমস্যা, নাকি মানসিক সমস্যা, নাকি শত্রুর তৎপরতা, নাকি নিছুক দুর্ঘটনা, নাকি যাদুটোনা, নাকি জিনের আছর- তা আলামত ও গবেষণার মাধ্যমে নির্ণয় করে নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। আন্দাজে কাউকে জিনে ধরা রোগী বলে ঝাটা মারা শুরু করাও সমর্থনযোগ্য নয়, আবার বাস্তবে কারো উপর জিনের প্রভাব থেকে থাকলেও সেটাকে উপেক্ষা করা উচিত নয়। যেকোন একদিকের গোড়ামীই বিপজ্জনক। তবে জিনে ধরার ঘটনাগুলোকে আমরা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই গণ্য করব।